গ্রীষ্মকালের প্রখর রোদে তৃষ্ণা মেটানোর উপকরণ হিসেবে পরিচিতি তরমুজের কথা আমরা সবাই চিনে থাকি।
আপনি কি তাহলে জানতে চান তরমুজের জানা-অজানা নানা গুণাবলি সম্পর্কে?
পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ফল-ফলাদি। এদের নানা ধরনের উপকারিতা আমাদের শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক এবং সুন্দর রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।কিন্তু সকল ফলমূল সম্পর্কে কি আমরা পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখি? আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের জানতে হবে ফলমূল সমূহের উপকারিতা সম্পর্কে।
আমাদের শরীরে ভিটামিন, মিনারেল সহ নানা ধরণের খাদ্যের উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করে নানা ধরনের ফলমূল সমূহ।খাদ্যের যোগান দাতা হলেও কিছু কিছু ফলমূল হয়ে উঠে আমাদের অর্থের অন্যতম যোগানদাতা।কারণ বেশিরভাগ ফলমূলসমূহ আজ চাষাবাদ করে নিজের দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি হতে উঠছে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম ক্ষেত্র। তেমনি একটি অর্থনৈতিকভাবে আয়ের অন্যতম উৎস তরমুজ।
আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় ফল হিসেবে বেশ পরিচিত হল তরমুজ। মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে কাছে বেশ চাহিদা সম্পন্ন। তরমুজ মূলত গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ একটি ফল হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। খেতে সুস্বাদু বিদায় বয়সভেদে সকলের পছন্দের তালিকায় তরমুজের অবস্থান শীর্ষে। তরমুজ মূলত একটি বাংলা শব্দ।
তরমুজের ইংরেজি নাম Watermelon। তরমুজের বৈজ্ঞানিক নাম হল Citrullus lanatus। তরমুজ একটি মিষ্টিজাতীয় বেশ সুস্বাদু ফল।একটি তরমুজে মূলত ৯২% পানি,চিনি ৬% এবং অন্যান্য উপাদান ২% থাকে। পানির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকার গ্রীষ্মকালের ফল হিসেবে বেশ চাহিদাসম্পন্ন হল তরমুজ।তবে তরমুজের আদিবিবাস আফ্রিকাতে।
একটি জনপ্রিয় ফল হিসেবে সকলের কাছে বেশ পরিচিত হল তরমুজ।চলুন তাহলে জেনে তরমুজের নানাবিধ উপকারিতার কথাঃ
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল। যা আমাদের শরীরে পানির অভাব পূরণে বেশ ভূমিকা পালন করে।
যারা ওজন বৃদ্ধি নিয়ে বেশ সমস্যায় আছেন তারা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে পারেন তরমুজ।কারণ তরমূজ এমন একটি ফল যা আমাদের মানবদেহে ওজন কমাতে বেশ কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে।
তরমুজ আমাদের মানব দেহে বিভিন্ন ধরণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমাদের মানব দেহে শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ ভূমিকা পালন করে তরমুজ।
তরমুজ আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের শরীরে হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে তরমুজ।
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারটিন এবং ম্যাংগানিজ। যা আমাদের ত্বক সুস্রগ রাখার পাশাপাশি ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে।
আমাদের দেহে নানা ধরনের ফ্লু কিংবা সর্দি কাশি প্রতিরোধ এ বেশ ভূমিকা পালন করে।
তরমুজ শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশ ভূমিকা পালন করে।
ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণে বেশ ভূমিকা পালন করে তরমুজ।
চোখের সমস্যা প্রতিহত এ বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে তরমুজ।
এক গ্লাস তরমুজের শরবত আমাদের শরীরে সকল প্রকার প্রশান্তি দূর করতে ভূমিকা পালন করে।
তরমুজ বর্তমানে একটি ফল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে আমাদের দেশে।অনেকেই তরমুজ উৎপাদন করে দেশের চাহিদা পূরণ করছে। কিন্তু আপনি জানেন কি? তরমুজ উৎপাদন করে আপনি দেশীয় চাহিদার পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করে করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে চাষ করতে হবে তরমুজ। চলুন তাহলে জেনে নেই তরমুজের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
মূলত জমি শুষ্ক, উষ্ণ পরিবেশ এবং পরিপূর্ণরুপে আলো পায় এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে।এমন স্থান যদি তরমুজ চাষের জন্য নির্বাচন করা হয় তাহলে ফলন তুলনামূলক বেশি হবার সম্ভাবনা থেকে থাকে।তবে শুধুমাত্র আদ্র জমিতে ফলন ভালো না হবার সম্ভাবনা থাকে প্রচুর।
মূলত আমাদের দেশে যেসকল তরমুজ উৎপাদিত হয় তার জন্য কাচামাল বীজ বিদেশ থেকে রপ্তানি করা হয়।
আপনি যে ধরনের ফলন করতে চান না কেন ফলনের জন্য আপনাকে সবার আগে মাটি নির্বাচন করতে হবে।তরমুজ তার ব্যতিক্রম নয়।আপনি যদি তরমুজের জন্য মাটি নির্বাচন করতে চান তাহলে আপনি বেলে ও দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে।
মাটি তৈরি করে সেই মাটিকে তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে হবে।মূলত ট্রাক্টর কিংবা মই দিয়ে জমিকে চাষের উপযুক্ত করে তুলতে হবে।পরবর্তীতে বিছানা তৈরি করতে হবে।বিছনাতে সার প্রয়োগ করতে হবে যাতে করে বীজ ভালোভাবে অংকুরদগম করতে পারে।
আপনি যদি ফলন বেশি চান তাহলে আপনাকে সবার আগে পরিপূর্ণ জাত নির্বাচন করতে হবে।মূলত তরমুজের উল্লেখযোগ্য জাত হলঃ
তরমুজ মূলত বীজ থেকে চারা করা হয়। এবং সেই চারা থেকে ফলন হয়ে থাকে।
মূলত তরমুজের জন্য নিভেম্নর মাস থেকে ডিসেম্বর৷ মাস পর্যন্ত চারা রোপন করা যাবে।তবে বছরের শুরুর দিকে যদি বীজ পাওয়া যায় তাহলে ভালো ফলন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করা যায়।
প্রথমে মাদা তৈরি করে সেই মাদাতে পরিমিত পরিমান সার দিয়ে মাটি তৈরি করে রাখতে হবে।সেই মাটিত করকে ১ সপ্তাহ পর আপনাকে পরিপূর্ণ রুপে বীজ বপন করতে হবে।প্রত্যেকটি চারা বপনের জন্য মাঝে ২ মিটার সমপরিমাণ জমি খালি রাখতে হবে।তবে এই পদ্ধতিতে অনেক সময় বীজ রোপন করা হলে বীজের অপচয় হবার সম্ভাবনা থেকে থেকে থাকে।তাই বীজ অপচয় রোদ করতে হলে আপনাকে চারা করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে।
মূলত জমিতে প্রয়োজন অঅনুযায়ী ইউরিয়া,গোবর,টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে।পোকামাকড়ের আক্রমণের হাত থেকে তরমুজকে রক্ষা করতে হলে আপনাকে জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে।
তরমুজের ফলন পাবার সময় নির্বাচন করা বেশ কঠিন। তবে বীজ কিংবা চারা বপনের ৮০-১২০ দিন এর মধ্যে আপনি তরমুজের ফলন পাবার সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে।
তরমুজে উপকারিতা সম্পর্কে বগু আগেই আপনারা জেনে গেছেন।উপকারিতার পাশাপাশি তরমুজে রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতা।চলুন তাহলে জেনে নেই তরমুজের অপকারিতা সম্পর্কে-
তরমুজ আমাদের সকলের প্রিয়, জনপ্রিয় এবং একটি সুস্বাদু ফল হিসেবে বেশ পরিচিত। মূলত তরমুজ একটি চাষাবাদযোগ্য ফল বটে।
বাংলাদেশের তরমুজের চাষাবাদ খুবই সীমিত। যেহেতু তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল, তাই বছরের শুরুতে তরমুজ চাষ করা হয়ে থাকে।
আমরা জানি তরমুজ বীজ থেকে চারা করা হয় তবে বীজের মাধ্যমে তরমুজের রোপণ করা বেশ কষ্টকর হয়ে থাকে। কারণ এর ফলে বীজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাইতো তরমুজের চাষাবাদ করার জন্য তরমুজের গাছ থেকে তরমুজ চাষ করা উত্তম। এতে যেমন বীজ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে না, ঠিক তেমনি পরিপূর্ণ ফলন পাওয়া যায়।
সময়ের সাথে সাথে তরমুজের চাহিদা বাড়ছে।এই চাহিদা শুধুমাত্র আমাদের দেশে নয়।বরং আমাদের বাইরে রয়েছে এই তরমুজের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা।তাই চাষাবাদযোগ্য এই ফল রপ্তানি করে খুব সহজে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব্ব।
অর্কিড, খুব কঠিন একটা নামের সুন্দর একটা ফুল। আজকে আপনাদের সাথে চমৎকার একটি ফুল নিয়ে…
প্রতিটা দেশেরইই একক কিছু দেশাত্মবোধক গান থাকে তেমনি বাংলাদেশেও রয়েছে এমন অনেকগুলো দেশাত্মবোধক গান। আমরা…
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমাদের আজকের জানার বিষয় হলো -…
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে বেগুন চাষ…
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশা করি মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ও অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো…
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর ইচ্ছায় সবাই ভালো আছেন। আমাদের দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ…