আমরা অনেকেই অনেক কাজে দক্ষ। আমদের অনেকেরই বিভিন্ন রকম ভালো স্কিল রয়েছে। সেগুলোর প্রদর্শন বা ডিসপ্লে করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে পোর্টফোলিও। আমাদের আজকের জানার বিষয় হলঃ পোর্টফোলিও কি এবং কিভাবে পোর্টফোলিও তৈরি করতে হয়? – এ নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল।
পোর্টফোলিও তৈরি কিভাবে করবেন; সেটা জানার পূর্বে পোর্টফোলিও কি? – তা আপনাকে আহে জেনে নিতে হবে। আপনি কোন একটি কাজে বিশেষ দক্ষ হতে পারেন। আপনার স্কিল ভাল হতে পারে। কিন্তু ক্লাইন্ট কে সেটা দেখাতে হয় কাজের মাধ্যমে অর্থোপার্জনের জন্য। এজন্য আপনার নিজের করা সুন্দর কাজটি করে রাখতে হয়।
ধরুন, আপনি বিজনেস কার্ড ডিজাইন করতে পারেন। আপনার নিজের করা একটি বিজনেস কার্ড করে রাখাটাই হলো পোর্টফোলিও। অন্যের ডিজাইন নকল করে পোর্টফোলিও করা যাবে না। পোর্টফলিও বলতে নিজের কাজ করে বুঝায় যা নকলমুক্ত। আপনি নিজের জন্য কিভাবে পোর্টফোলিও তৈরি করবেন – সে বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
সার্বিক বিবেচনায় পোর্টফলিও ২ প্রকার। এক. অফলাইন পোর্টফোলিও এবং দুই. অফলাইন পোর্টফোলিও। এই প্রকারের পোর্টফলিওর রয়েছে আরও নামে পরিচিতি!
অফলাইন পোর্টফলিও কে প্রিন্টেড বা ফিজিক্যাল পোর্টফলিও বলা হয়। এছাড়া অনলাইন পোর্টফলিও কে ভার্চুয়াল পোর্টফলিও বলে। যাদের প্রধান কাজ অনলাইনে থাকে না বরং তা অফলাইনে বা বাস্তবিক ভাবে করা হয়; তাদের জন্য অফলাইন পোর্টফলিও তৈরি করা লাগে। যেমনঃ কাপড়ের ব্যবসা, জুতার ব্যবসা ইত্যাদি।
কিন্তু যারা প্রধানত অনলাইনে স্কিলড বা অনলাইনেই যাদের আসল কাজ; তাদের জন্য অনলাইন পোর্টফলিও। যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভলপার।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার যদি একাধারে লোগো, বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার, ব্রুশিয়ার, ট্রাইফোল্ড সহ ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী হয়; তাহলে এগুলোকে ক্যাটাগরাইজড বা ধরনের ভিত্তিতে ভাগ করে সাজিয়ে পোর্টফোলিও একটি ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করতে হয়।
আমরা ২ প্রকারের পোর্টফোলিও এর ব্যাপারে জেনেছি। প্রথমে অফলাইন/প্রিন্টেড/ফিজিক্যাল পোর্টফলিওর ব্যাপারে বলি। এটা মূলত আপনার কাজের প্রদর্শন। যেমন ধরুনঃ আপনি জুতার ব্যবসায়ী আর একজন ক্লাইন্ট বা ক্রেতা পাইকারি জুতা আপনার কাছ থেকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এখন আপনাকে আপনার সেরা জুতা গুলো প্রদর্শন করতে হবে। এজন্য আপনার জুতা গুলোর বিভিন্ন ধরন, রঙ, ডিজাইন এর ভিত্তিতে একটি ডিসপ্লে কার্ড তৈরি করলেন। এই ডিসপ্লে কার্ড অথবা ক্যাটালগটাই হলো আপনার পোর্টফলিও।
কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এরকম ফিজিক্যাল পোর্টফলিও বহন করে বেড়ানোর পরিবর্তে সেটা ভার্চুয়াল ভাবে তৈরি করে সেই ফাইল বা ওয়েবসাইট প্রদর্শন করতে পারেন। এটা তুলনামূলক সহজ এবং ঝামেলামুক্ত।
অনলাইন পোর্টফলিও হলো আপনার কাজগুলো একটি ব্যক্তিগত বা পার্সোনাল ওয়েবসাইটে সাজিয়ে প্রদর্শন করা। এক্ষেত্রে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। এটা সবচেয়ে উত্তম। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে স্বল্পরদামে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে আপনি একটি পোর্টফলিও ডিসপ্লে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন।
যারা ফাইভার, ফ্রীল্যান্সার, আপওয়ার্কের মতো ফ্রীল্যান্সিং রিলেটেড সাইটে কাজ করতে চান; তাদের জন্য ফ্রী তে পোর্টফোলিও করার কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ ফ্রীল্যান্সার ডট কমে বিনামূল্যে পোর্টফোলিও যুক্ত করা যায়।
এছাড়াও ফাইভার কিছু ওয়েবসাইট এলাও করে। যেমনঃ blogspot, flickr ইত্যাদি। এসব সাইটে ফ্রী তে পোর্টফোলিও তৈরি করে সেটার লিংক আপনি ফাইভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
তবে প্রফেশনাল হিসেবে আপনার অবশ্যই উচিত নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে পোর্টফলিও করে তারপর সেটা ক্লাইন্টকে দেখানো। কারণ, ক্লাইন্ট যদি ফ্রীল্যান্সারকে প্রফেশনাল মনে না করে; তাহলে কাজ পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা থাকে না।
পেইড পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করতে রেকমেন্ড করছি। ওয়ার্ডপ্রেসে ভাল ভাল পেইড থিম রয়েছে। সেখান থেকে পছন্দমতো কিনে নিয়ে সুন্দরভাবে আপার পোর্টফলিও ওয়েবসাইট টি সাজিয়ে নিবেন।
যদি আপনার পোর্টফলিও এর মান ভাল হয়; তাহলে ভাল পরিমাণে কাজ পাবেন ইনশা আল্লাহ্। সুতরাং পোর্টফলিও তৈরি করার বিষয়ে আপনার বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত।
পোর্টফলিও তৈরি করার সময়ে আপনি যে কাজটি ডিসপ্লে করতে চান আপনার পোর্টফলিওর মধ্যে; সেটার মান যাচাই করুন। সবচেয়ে ভাল মানের কাজটি নিয়ে পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে।
তবে একটি বিষয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। আর তা হলোঃ অতিরঞ্জিত কিছু করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি প্রিন্টেড অফলাইন পোর্টফলিও করার জন্য এমন ছবি ব্যবহার করলেন; যার সাথে বাস্তবতার মিল নেই।
আবার এমন গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শো করলেন; বাস্তবে যে কাজ আপনি ঠিকমতো করতে পারেন না – এসব অবশ্যই বর্জন করতে হবে। কেননা, এসবের কারণে আপনার সম্মান বিনষ্ট হতে পারে। যার ফলে আপনি অর্ডার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
আপনার স্কিল কি আসলে অফলাইন রিলেটেড নাকি অফলাইন রিলেটেড – সেটা বিবেচনা করে পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। যেমনঃ আপনি যদি কাপড়ের ব্যবসায়ী হন আর ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে ক্লাইন্টকে আপনার কাপড়গুলোর স্যাম্পল প্রিন্টেড আকারে দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে অফলাইন পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে আপনাকে।
আর আপনি যদি ফ্রীল্যান্সার হন; যেমন ধরুন, গ্রাফিক্স ডিজাইনার; তাহলে আপনাকে ভার্চুয়াল বা অনলাইন পোর্টফোলিও তৈরী করতে হবে। তবে অফলাইন পোর্টফোলিও তৈরি করা আর সেটা বহন করাটা একটু ঝামেলার বিষয়। তাই এক্ষেত্রে আপনি ভার্চুয়াল পোর্টফলিও তৈরি করতে পারেন।
আপনার পোর্টফলিও এর লিংক আপনার স্মার্টফোনে রাখুন। যাতে সহজে যে কোন স্থানে আপনি আপনার কাজগুলো প্রদর্শন করতে পারেন।
শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…
লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…
ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…
এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…
রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…
সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…
This website uses cookies.