Categories: Top 10 Things

বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি (২০২৩ আপডেট)

দেশের অনেক গুলো কোম্পানি রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষে, তবে আপনি কি জানেন বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি কোন গুলো? কোন গুলো দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে? যদি উক্ত বিষয়ে অবগত না থেকে থাকেন তবে আমাদের এবারের প্রতিবেদন আপনাকে সে বিষয়ে জানতে সাহায্য করবে। কেননা, এবারের আর্টিকেলে কভার করা হয়েছে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি গুলোকে। 

বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, গত এক দশকে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রতি বছর গড়ে ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৯ তম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক পোশাক শিল্পে একটি প্রধান প্রস্তুতকারক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে, সরকারের জন্য রাজস্ব তৈরিতে এবং দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দেশের ব্যবসায়িক খাতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কোম্পানি গুলিকে তুলে ধরে।

এবারের প্রতিবেদনে, আমরা তাদের রাজস্ব, বাজার মূলধন এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি নিয়ে আলোচনা করবো। তাদের শিল্প এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সহ প্রতিটি কোম্পানির একটি ওভারভিউ প্রদান করবো এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাদের প্রধান অর্জন এবং অবদান নিয়ে আলোচনা করবো। এই নিবন্ধের শেষের মধ্যে, পাঠকরা আজ বাংলাদেশে কর্মরত সবচেয়ে সফল এবং প্রভাবশালী কোম্পানিগুলি সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন।

বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি বাছাইয়ে Criteria গুলো

বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন মানদণ্ড (Criteria) বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এই মানদণ্ড নিম্মে উল্লেখ্য করা হলো:

১) মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন: মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন হল একটি কোম্পানির মূল্যের পরিমাপ। এটি প্রতিটি শেয়ারের বর্তমান বাজার মূল্য দ্বারা বকেয়া শেয়ারের সংখ্যাকে গুণ করে গণনা করা হয়। উচ্চ বাজার মূলধন সহ কোম্পানিগুলিকে আরও মূল্যবান বলে মনে করা হয়।

২) রাজস্ব: একটি কোম্পানি তার কার্যক্রমের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে তাকে রাজস্ব বলে। উচ্চ আয়ের কোম্পানিগুলিকে সাধারণত বেশি সফল বলে মনে করা হয়।

৩) লাভজনকতা: লাভজনকতা হল একটি কোম্পানির মুনাফা উৎপন্ন করার ক্ষমতার পরিমাপ। উচ্চ মুনাফা সহ কোম্পানিগুলিকে সাধারণত বেশি সফল বলে মনে করা হয়।

৪) বৃদ্ধির হার: বৃদ্ধির হার হল যে হারে একটি কোম্পানি প্রসারিত হচ্ছে। উচ্চ বৃদ্ধির হার সহ কোম্পানিগুলিকে সাধারণত বেশি সফল বলে মনে করা হয়।

৫) কর্মচারী সন্তুষ্টি: কর্মচারীর সন্তুষ্টি হল কর্মচারীরা তাদের চাকরিতে কতটা সন্তুষ্ট তার একটি পরিমাপ। উচ্চ কর্মচারী সন্তুষ্টি সহ কোম্পানিগুলিকে সাধারণত বেশি সফল বলে মনে করা হয়।

৬) ব্র্যান্ড ভ্যালু: ব্র্যান্ড ভ্যালু হল একটি কোম্পানির ব্র্যান্ডের মূল্যের পরিমাপ। উচ্চতর ব্র্যান্ড মান সহ কোম্পানিগুলিকে সাধারণত বেশি সফল বলে মনে করা হয়।

৭) সামাজিক দায়িত্ব: সামাজিক দায়বদ্ধতা একটি পরিমাপ যা একটি কোম্পানি সমাজকে কতটা ফিরিয়ে দেয়। উচ্চ সামাজিক দায়বদ্ধতা সহ কোম্পানিগুলিকে সাধারণত বেশি সফল বলে মনে করা হয়।

এসব মানদণ্ড বিবেচনা করে বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি গুলোকে নির্বাচন করা হয়। এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই মানদণ্ডগুলি সম্পূর্ণ নয় এবং কোম্পানিগুলির কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করার সময় অন্যান্য কারণগুলিও বিবেচনা করা যেতে পারে। আমরা নিজস্ব ক্যাপাসিটি এবং অনলাইন থেকে প্রাপ্য তথ্যের আলোকে পুরো তালিকাটি সাজিয়েছি। 

বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি

বসুন্ধরা গ্রুপ

বসুন্ধরা গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম এবং বৈচিত্র্যময় শিল্প সমষ্টি, যেখানে অন্যান্য শিল্পের মধ্যে রিয়েল এস্টেট, সিমেন্ট, কাগজ, জ্বালানি এবং ভোক্তা পণ্যের কার্যক্রম রয়েছে। কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে আহমেদ আকবর সোবহান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর সদর দপ্তর ঢাকায়।

সেরা ১০ এ থাকার কারন: 

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, এর শক্তিশালী আর্থিক কর্মক্ষমতা এবং এর বিভিন্ন ব্যবসার পরিসরের কারণে বসুন্ধরা গ্রুপকে বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি এর তালিকার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

অর্জন এবং অবদান:

বসুন্ধরা গ্রুপ রিয়েল এস্টেট, সিমেন্ট এবং কাগজ সহ বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সংস্থাটি স্থায়িত্ব এবং পরিবেশগত স্টুয়ার্ডশিপের প্রতিশ্রুতির জন্যও স্বীকৃত হয়েছে। এছাড়াও, বসুন্ধরা গ্রুপ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা সহ বেশ কিছু জনহিতকর উদ্যোগের সাথে জড়িত রয়েছে।

পণ্য সমূহ:

বসুন্ধরা গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসায় বিস্তৃত পণ্য উৎপাদন করে, যার মধ্যে রয়েছে

  • সিমেন্ট এবং নির্মাণ সামগ্রী
  • কাগজ এবং প্যাকেজিং
  • শক্তি এবং শক্তি
  • রিয়েল এস্টেট এবং সম্পত্তি উন্নয়ন
  • খাদ্য ও পানীয়, প্রসাধন সামগ্রী এবং গৃহস্থালী সামগ্রী সহ ভোক্তা পণ্য

মোট শ্রমিক সংখ্যা: ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, বসুন্ধরা গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসায় ৩০,০০০ এরও বেশি লোককে নিয়োগ করেছে।

হেড অফিসের অবস্থান:

বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-২

প্লট-৫৬/এ, ব্লক-সি, উম্মে কুলসুম রোড

বসুন্ধরা আর/এ, ঢাকা-১২২৯, বাংলাদেশ

যোগাযোগের তথ্য:

টেলিফোন: +8801713038238

ইমেইল: info@bg.com.bd

ওয়েবসাইট: https://www.bashundharagroup.com/

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ খাদ্য ও পানীয়, প্লাস্টিক পণ্য এবং ইলেকট্রনিক্স সহ বিভিন্ন শিল্পে উপস্থিতি সহ একটি নেতৃস্থানীয় বাংলাদেশী সংগঠন। কোম্পানিটি ১৯৮১ সালে আমজাদ খান চৌধুরী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর সদর দপ্তর ঢাকায়।

সেরা ১০ এ থাকার কারন: 

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, এর শক্তিশালী আর্থিক কর্মক্ষমতা এবং বিভিন্ন শিল্প জুড়ে পণ্যের বিস্তৃত পরিসরের কারণে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি এর তালিকার জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

অর্জন এবং অবদান:

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ খাদ্য ও পানীয়, প্লাস্টিক পণ্য এবং ইলেকট্রনিক্স সহ বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কোম্পানিটি গুণমান ও উদ্ভাবনের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য এবং বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকার জন্য স্বীকৃত হয়েছে। এছাড়াও, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা সহ বিভিন্ন জনহিতকর উদ্যোগে জড়িত রয়েছে।

পণ্য সমূহ

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসায় বিস্তৃত পণ্য উৎপাদন করে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • স্ন্যাকস, জুস, দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার সহ খাদ্য ও পানীয় পণ্য
  • গৃহস্থালী সামগ্রী, আসবাবপত্র এবং শিল্প পণ্য সহ প্লাস্টিক পণ্য
  • টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর এবং এয়ার কন্ডিশনার সহ ইলেকট্রনিক্স

মোট শ্রমিক সংখ্যা: ২০২১ সাল পর্যন্ত, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসায় ৬০,০০০ জনেরও বেশি লোককে নিয়োগ করেছে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বাংলাদেশের আটটি বিভাগে শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।

হেড অফিসের অবস্থান: 105 মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-1212, বাংলাদেশ।

যোগাযোগের তথ্য:

টেলিফোন: +8802 9881792-4

ইমেইল: info@prangroup.com

ওয়েবসাইট: https://www.pranrflgroup.com/

এসিআই লিমিটেড গ্রুপ

এসিআই লিমিটেড গ্রুপ ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি, ভোগ্যপণ্য এবং খুচরা বিক্রেতা সহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পে উপস্থিতি সহ একটি নেতৃস্থানীয় বাংলাদেশী সংগঠন। কোম্পানিটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর সদর দপ্তর ঢাকায়।

সেরা ১০ এ থাকার কারন: 

এসিআই লিমিটেড গ্রুপ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, এর শক্তিশালী আর্থিক কর্মক্ষমতা এবং বিভিন্ন শিল্প জুড়ে পণ্যের বিস্তৃত পরিসরের কারণে বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি এর তালিকার জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

অর্জন এবং অবদান:

এসিআই লিমিটেড গ্রুপ ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি, ভোগ্যপণ্য এবং খুচরা বিক্রেতাসহ বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কোম্পানিটি গুণমান ও উদ্ভাবনের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য এবং বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকার জন্য স্বীকৃত হয়েছে। এছাড়াও, এসিআই লিমিটেড গ্রুপ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা সহ বিভিন্ন জনহিতকর উদ্যোগে জড়িত রয়েছে।

পণ্য সমূহ 

এসিআই লিমিটেড গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসায় বিস্তৃত পণ্য উৎপাদন করে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • প্রেসক্রিপশন ওষুধ এবং ভোক্তা স্বাস্থ্য পণ্য সহ ফার্মাসিউটিক্যালস
  • কৃষি, ফসল সুরক্ষা এবং বীজ পণ্য সহ
  • বাড়ির যত্ন, ব্যক্তিগত যত্ন এবং খাদ্য পণ্য সহ ভোগ্যপণ্য
  • খুচরা, সুপারমার্কেট এবং সুবিধার দোকান সহ

মোট শ্রমিক সংখ্যা: ACI লিমিটেড গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসায় ১০,০০০ জনেরও বেশি লোককে নিয়োগ করেছে। এসিআই লিমিটেড গ্রুপের বাংলাদেশের আটটি বিভাগে শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।

হেড অফিসের অবস্থান: এসিআই সেন্টার, 245 তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-1208, বাংলাদেশ।

যোগাযোগের তথ্য:

টেলিফোন: +880-2-8878603

ইমেইল: info@acibd.com

ওয়েবসাইট: https://www.aci-bd.com/

যমুনা গ্রুপ

যমুনা গ্রুপ টেক্সটাইল, রিয়েল এস্টেট এবং আতিথেয়তা শিল্পে উপস্থিতি সহ একটি নেতৃস্থানীয় বাংলাদেশী সংগঠন। কোম্পানিটি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর সদর দপ্তর ঢাকায়।

সেরা ১০ এ থাকার কারন: 

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, এর শক্তিশালী আর্থিক কর্মক্ষমতা এবং বিভিন্ন শিল্পে পণ্যের বিস্তৃত পরিসরের কারণে যমুনা গ্রুপকে শীর্ষ ১০ তালিকার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

অর্জন এবং অবদান:

যমুনা গ্রুপ টেক্সটাইল, রিয়েল এস্টেট এবং আতিথেয়তা সহ বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কোম্পানিটি গুণমান ও উদ্ভাবনের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য এবং বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকার জন্য স্বীকৃত হয়েছে। এছাড়াও, যমুনা গ্রুপ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা সহ বিভিন্ন জনহিতকর উদ্যোগে জড়িত রয়েছে।

পণ্য সমূহ

যমুনা গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসা জুড়ে বিস্তৃত পণ্য উত্পাদন করে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • সুতা, কাপড় এবং গার্মেন্টস সহ টেক্সটাইল
  • আবাসিক এবং বাণিজ্যিক সম্পত্তি সহ রিয়েল এস্টেট
  • হোটেল এবং রিসর্ট সহ আতিথেয়তা

মোট শ্রমিক সংখ্যা: যমুনা গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসায় ১৫ হাজার জনেরও বেশি লোককে নিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের আটটি বিভাগেই যমুনা গ্রুপের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।

হেড অফিসের অবস্থান: যমুনা ফিউচার পার্ক, ৬ষ্ঠ তলা, ৩০২, বড়ো মগবাজার, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।

যোগাযোগের তথ্য:

টেলিফোন: +880-2-9343528-9

ইমেইল: info@jamunagroup.com.bd

ওয়েবসাইট: https://www.jamunagroup.com.bd/

বেক্সিমকো গ্রুপ

বেক্সিমকো গ্রুপ হল একটি নেতৃস্থানীয় বাংলাদেশী বহুজাতিক সংস্থা যেটির টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকস, পাট এবং অন্যান্য অনেক খাতে ব্যবসা রয়েছে। কোম্পানিটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

কেন বেক্সিমকো গ্রুপ সেরা ১০ তালিকার জন্য নির্বাচিত হয়েছিল তার ব্যাখ্যা:

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদানের কারণে বেক্সিমকো গ্রুপকে শীর্ষ ১০ তালিকার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। কোম্পানিটি দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি খাতের নিয়োগকর্তা এবং বাংলাদেশি জনগণের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উপরন্তু, বেক্সিমকো গ্রুপ বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে টেক্সটাইল ও ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে প্রসারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেক্সিমকো গ্রুপের উল্লেখযোগ্য অর্জন ও অবদানের আলোচনা:

বেক্সিমকো গ্রুপ বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়নে এর ভূমিকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। কোম্পানিটি বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের বৃহত্তম রপ্তানিকারক এবং পাশাপাশি টেক্সটাইল, সিরামিক এবং পাটজাত পণ্যের একটি প্রধান রপ্তানিকারক। বেক্সিমকো গ্রুপ আন্তর্জাতিক বাজারে মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়নে সহায়তা করেছে।

বেক্সিমকো গ্রুপের আরেকটি উল্লেখযোগ্য অবদান হল বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে এর ভূমিকা। কোম্পানিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি খাতের নিয়োগকর্তাদের মধ্যে একটি, এর বিভিন্ন ব্যবসায় ৫০ হাজার এরও বেশি কর্মচারী কাজ করছে। বেক্সিমকো গ্রুপ দেশের টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অন্যান্য খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

বেক্সিমকো গ্রুপের পণ্য:

বেক্সিমকো গ্রুপের টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকস এবং পাট সহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবসা রয়েছে। কোম্পানির উল্লেখযোগ্য কিছু পণ্যের মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, সিরামিক এবং পাটজাত পণ্য।

বেক্সিমকো গ্রুপের মোট কর্মী সংখ্যা:

বেক্সিমকো গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসায় ৫০০০০ এরও বেশি লোককে নিয়োগ করে। বেক্সিমকো গ্রুপের বাংলাদেশে একটি দেশব্যাপী উপস্থিতি রয়েছে, এর ব্যবসা বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় কাজ করে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুর কোম্পানির আওতাভুক্ত উল্লেখযোগ্য কিছু এলাকা।

হেড অফিসের অবস্থান: বেক্সিমকো গ্রুপের হেড অফিস বাংলাদেশের ঢাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত।

যোগাযোগের তথ্য:

বেক্সিমকো গ্রুপের সাথে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা ফোনের মাধ্যমে +880-2-58611001-7 নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

ওয়েবসাইট: বেক্সিমকো গ্রুপের ওয়েবসাইট https://www.beximco.com

স্কয়ার গ্রুপ

স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠন। এটি 1958 সালে স্যামসন এইচ চৌধুরী এবং তার বন্ধু দ্বারা একটি ছোট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আজ, এটি স্বাস্থ্যসেবা, টেক্সটাইল, কৃষি এবং তথ্য প্রযুক্তির মতো অন্যান্য খাতে তার ব্যবসা সম্প্রসারিত করেছে। স্কয়ার গ্রুপ তার গুণমান এবং উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতির জন্য পরিচিত, যা এটিকে বাংলাদেশে একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে।

কেন কোম্পানিকে সেরা ১০ তালিকার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল তার ব্যাখ্যা: 

স্কয়ার গ্রুপ হল বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশিষ্ট এবং সফল সমষ্টিগুলির মধ্যে একটি, যেখানে বিবিধ পণ্য ও পরিষেবা রয়েছে। এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে সমর্থন করে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। স্কয়ার গ্রুপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বেশ কয়েকটি পুরষ্কারও জিতেছে, এটিকে শীর্ষ ১০ তালিকায় একটি যোগ্য সংযোজন করে তুলেছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোম্পানির উল্লেখযোগ্য অর্জন ও অবদানের আলোচনা

স্কয়ার গ্রুপ বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর ফার্মাসিউটিক্যাল বিভাগ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, দেশের বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারক, বিভিন্ন থেরাপিউটিক বিভাগে ৪০০ টিরও বেশি পণ্য উত্পাদন করে। স্কয়ার গ্রুপ সারা দেশে হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করে স্বাস্থ্যসেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

এছাড়াও, স্কয়ার গ্রুপ স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেডের সাথে টেক্সটাইল শিল্পে প্রবেশ করেছে, যা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম টেক্সটাইল মিল হয়ে উঠেছে। উন্নতমানের চাল, আটা এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে কৃষি-শিল্পেও এর একটি শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। স্কয়ার গ্রুপের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ, স্কয়ার ইনফরমেটিক্স লিমিটেড, দেশের ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়নে অবদান রেখে ব্যবসা এবং সরকারি সংস্থাগুলির জন্য উদ্ভাবনী সমাধান প্রদান করে।

এই কোম্পানির পণ্য

স্কয়ার গ্রুপের পণ্য ও সেবার মধ্যে রয়েছে:

  • ফার্মাসিউটিক্যালস,
  • স্বাস্থ্যসেবা,
  • টেক্সটাইল,
  • কৃষি এবং
  • তথ্য প্রযুক্তি।

এই কোম্পানির মোট কর্মীর সংখ্যা: স্কয়ার গ্রুপ তার বিভিন্ন ব্যবসায়িক বিভাগে ২৫,০০০ জনেরও বেশি লোককে নিয়োগ করেছে। স্কয়ার গ্রুপ সারা বাংলাদেশে কাজ করে, যার প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। চট্টগ্রাম, বগুড়া, পাবনা এবং খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর বেশ কয়েকটি উত্পাদন সুবিধা এবং শাখা অফিস রয়েছে।

হেড অফিসের অবস্থান: স্কয়ার সেন্টার, 48, মহাখালী সি/এ, ঢাকা-1212, বাংলাদেশ।

যোগাযোগের তথ্য:

ফোন: +880-2-9859007-10, +880-2-8833047-56

ইমেইল: info@squaregroup.com

ফ্যাক্স: +880-2-8828768, +880-2-9887581

ওয়েবসাইট: https://www.squaregroup.com/

আবুল খায়ের গ্রুপ

আবুল খায়ের গ্রুপ হল একটি বাংলাদেশী সংগঠন যা ১৯৫৩ সালে আবুল খায়ের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গ্রুপটির ইস্পাত, সিমেন্ট, সিরামিক, তামাক, খাদ্য ও পানীয় এবং ব্যবসা সহ বিভিন্ন ব্যবসার পোর্টফোলিও রয়েছে।

কেন কোম্পানিকে সেরা ১০ তালিকার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল তার ব্যাখ্যা:

আবুল খায়ের গ্রুপ বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে ইস্পাত ও সিমেন্ট শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। গ্রুপটি উচ্চমানের ইস্পাত ও সিমেন্ট পণ্য সরবরাহ করে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়া আবুল খায়ের গ্রুপ বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করেছে।

উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং অবদান:

আবুল খায়ের গ্রুপ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইস্পাত উৎপাদনকারী যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা 1.5 মিলিয়ন টন। গ্রুপের সিমেন্ট বিভাগ, শাহ সিমেন্ট, বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১০ মিলিয়ন টন সহ দেশের অন্যতম বৃহত্তম সিমেন্ট উৎপাদনকারী।

আবুল খায়ের গ্রুপের তামাক বিভাগ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি), 60% এর বেশি বাজার শেয়ার সহ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম তামাক কোম্পানি। গ্রুপের খাদ্য ও পানীয় বিভাগ, আবুল খায়ের কনজিউমার গুডস, ভোজ্য তেল, ময়দা এবং মশলা সহ বিস্তৃত পণ্য উত্পাদন করে। আবুল খায়ের গ্রুপ তার CSR উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক কারণেও অবদান রেখেছে।

পণ্য সমূহ:

  • ইস্পাত পণ্য (বিলেট, দীর্ঘ ইস্পাত পণ্য, এবং ফ্ল্যাট ইস্পাত পণ্য সহ)
  • সিমেন্ট (ব্র্যান্ড নামে শাহ সিমেন্ট)
  • সিরামিক টাইলস (ব্র্যান্ড নামের RAK সিরামিকের অধীনে)
  • তামাকজাত দ্রব্য (ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের মাধ্যমে)
  • খাদ্য ও পানীয় পণ্য (ব্র্যান্ড নামে আবুল খায়ের কনজিউমার গুডস)

মোট শ্রমিক সংখ্যা: আবুল খায়ের গ্রুপ তার বিভিন্ন বিভাগে ৮০০০ জনেরও বেশি লোককে নিয়োগ করে। আবুল খায়ের গ্রুপের ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ এবং অন্যান্য শহরে অফিস এবং কারখানা সহ সারা দেশে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।

হেড অফিসের অবস্থান: আবুল খায়ের গ্রুপের প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত।

যোগাযোগের তথ্য:

আবুল খায়ের গ্রুপ লিমিটেড

ডি.টি. রোড, ফুলহারিঘাট

চট্টগ্রাম 4000, বাংলাদেশ

ফোন: +880-31-714541-5

ইমেইল: info@abulkhairgroup.com

ওয়েবসাইট: https://www.abulkhairgroup.com/

আকিজ গ্রুপ

আকিজ গ্রুপ বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় ব্যবসায়িক স্বার্থের সাথে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে শেখ আকিজউদ্দিন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এখন এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন।

শিল্প: আকিজ গ্রুপের টেক্সটাইল, তামাক, খাদ্য ও পানীয়, সিরামিক, সিমেন্ট এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন শিল্পে আগ্রহ রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:

আকিজ গ্রুপ 1940 এর দশকের শেষদিকে শেখ আকিজউদ্দিন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি পাট ব্যবসার মাধ্যমে শুরু করলেও পরে বিভিন্ন খাতে বৈচিত্র্য আনে। বছরের পর বছর ধরে, গ্রুপটি দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সমষ্টিতে পরিণত হয়েছে।

নির্বাচনের কারণ:

আকিজ গ্রুপ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, এর বিভিন্ন ব্যবসায়িক স্বার্থ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রয়েছে। মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য এটির খ্যাতি রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অর্জন ও অবদান:

আকিজ গ্রুপ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে, দেশের জিডিপিতে অবদান রেখে এবং রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। দলটি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি, সেরা ব্র্যান্ড পুরস্কার, এবং সুপারব্র্যান্ডস পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে।

পণ্য সমূহ:

  • আকিজ গ্রুপ সিগারেট,
  • সিমেন্ট,
  • টেক্সটাইল,
  • ভোগ্যপণ্য

এবং আরও অনেক কিছু সহ বিস্তৃত পণ্য উত্পাদন করে।

মোট শ্রমিক সংখ্যা: আকিজ গ্রুপের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত ৩২,০০০ এরও বেশি কর্মী রয়েছে। আকিজ গ্রুপের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট এবং রংপুরসহ বাংলাদেশের সাতটি বিভাগেই উপস্থিতি রয়েছে।

হেড অফিসের অবস্থান: 

আকিজ হাউস, 198 বীর উত্তম, 

মীর শওকত সড়ক,

তেজগাঁও, ঢাকা-1208, বাংলাদেশ।

যোগাযোগের তথ্য:

ফোন: +88028859625

ইমেইল: info@akij.net

ফ্যাক্স: +88028859635

ওয়েবসাইট: https://www.akij.net

মেঘনা গ্রুপ

মেঘনা গ্রুপ বাংলাদেশের একটি নেতৃস্থানীয় সমষ্টি যা সিমেন্ট, ভোগ্যপণ্য, ভোজ্যতেল, কাগজ এবং বোর্ড এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন শিল্পে কাজ করে। এই গ্রুপটি ১৯৬৫ সালে আব্দুল খালেক বেপারী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বর্তমানে তার ছেলে মোস্তফা কামাল নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

কেন কোম্পানিকে সেরা ১০ তালিকার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল তার ব্যাখ্যা:

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং এর বিস্তৃত পণ্য ও পরিষেবার কারণে মেঘনা গ্রুপকে শীর্ষ 10 তালিকার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল যা এটিকে দেশের ঘরে ঘরে পরিচিত করেছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোম্পানির উল্লেখযোগ্য অর্জন ও অবদানের আলোচনা: 

মেঘনা গ্রুপ বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কোম্পানির সিমেন্ট বিভাগ দেশের অন্যতম বৃহত্তম এবং নির্মাণ শিল্পে সিমেন্টের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সাহায্য করেছে। এর ভোগ্যপণ্য বিভাগ বিস্তৃত পরিসরে পণ্য উৎপাদন করে যা বাংলাদেশ এবং এর বাইরের ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়। মেঘনা গ্রুপ দেশের ভোজ্যতেল শিল্পের একটি প্রধান খেলোয়াড়, উচ্চ মানের রান্নার তেল উৎপাদন ও বিতরণ করে।

এই কোম্পানির পণ্য সমূহ: 

  • মেঘনা গ্রুপ সিমেন্ট,
  • ভোগ্যপণ্য,
  • ভোজ্যতেল,
  • কাগজ এবং বোর্ড

আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন ধরণের শিল্পে কাজ করে। এর কয়েকটি সুপরিচিত ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে 

  • তাজা সয়াবিন তেল,
  • খাঁটি সরিষার তেল,
  • নং 1 সিমেন্ট,
  • ঢাকা টোব্যাকো
  • এবং আরও অনেক কিছু।

এই কোম্পানির মোট কর্মী সংখ্যা: মেঘনা গ্রুপের সমস্ত বিভাগে ২৫,০০০ কর্মী রয়েছে। মেঘনা গ্রুপের পণ্য ও সেবা দেশের সব বিভাগে উপলব্ধ থাকায় সারা বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।

হেড অফিসের অবস্থান: মেঘনা গ্রুপের প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত।

যোগাযোগের তথ্য: 

মেঘনা গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে নিচের ঠিকানায়:

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ

তাজা ভিলা

বাড়ি # 15, রোড # 34

গুলশান 1, ঢাকা-1212

বাংলাদেশ

ফোন: +880-2-9851015-24

ফ্যাক্স: +880-2-9885292

ইমেইল: info@meghnagroup.biz

ওয়েবসাইট: https://meghnagroup.biz/

পারটেক্স গ্রুপ

পারটেক্স গ্রুপ বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠন। গ্রুপটি ১৯৬১ সালে শিল্পপতি এম এ হাশেম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গ্রুপটি খাদ্য ও পানীয়, রিয়েল এস্টেট, নির্মাণ, আসবাবপত্র এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে।

কেন পারটেক্স গ্রুপ সেরা ১০ তালিকার জন্য নির্বাচিত হয়েছিল তার ব্যাখ্যা:

পারটেক্স গ্রুপ বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। গ্রুপটি হাজার হাজার কাজের সুযোগ তৈরি করেছে এবং খাদ্য ও পানীয়, রিয়েল এস্টেট এবং নির্মাণ সহ বিভিন্ন শিল্পের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অর্জন ও অবদান:

কোকা-কোলা, স্প্রাইট, ফান্টা, কিনলে এবং আরও অনেক ব্র্যান্ডের সাথে পারটেক্স গ্রুপ বাংলাদেশের খাদ্য ও পানীয় শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। পার্টেক্স স্টার সিটি, পার্টেক্স টাওয়ার এবং আরও অনেক কিছুর মতো প্রকল্পগুলির সাথে গ্রুপটি রিয়েল এস্টেট এবং নির্মাণ খাতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

এই কোম্পানির পণ্য:

  • কোমল পানীয়,
  • মিনারেল ওয়াটার,
  • আসবাবপত্র,
  • কৃষিভিত্তিক পণ্য

এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে।

এই কোম্পানির মোট কর্মী সংখ্যা: গ্রুপটির সমস্ত কোম্পানি জুড়ে ২০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। পারটেক্স গ্রুপের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং রংপুর সহ বাংলাদেশের সকল বিভাগে উপস্থিতি রয়েছে।

হেড অফিসের অবস্থান: পারটেক্স গ্রুপের প্রধান কার্যালয় ঢাকা, বাংলাদেশে অবস্থিত।

যোগাযোগের তথ্য:

পার্টেক্স গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে +880-2-8831188-91 বা info@partexgroup.com এ।

ওয়েবসাইট: পারটেক্স গ্রুপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.partexgroup.com 

পরিশেষে কিছু কথা

উপসংহারে, বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি গুলো তাদের নিজ নিজ শিল্পে সেরা এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তারা কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, রাজস্ব আয় করেছে এবং বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, এসিআই লিমিটেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, স্কয়ার, আবুল খায়ের গ্রুপ, আকিজ গ্রুপ এবং মেঘনা গ্রুপ এবং পারটেক্স গ্রুপ – তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবন দেখিয়েছে। এই কোম্পানিগুলি টেলিযোগাযোগ, ফার্মাসিউটিক্যালস, রিয়েল এস্টেট, ভোগ্যপণ্য এবং উত্পাদন সহ বিস্তৃত সেক্টরে কাজ করে।

দেশের তরুণ এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, কৌশলগত অবস্থান এবং অবকাঠামোর উন্নতি ব্যবসায়িক খাতে আরও বৃদ্ধি ও উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করে। বাংলাদেশের উদীয়মান মধ্যবিত্ত এবং ক্রমবর্ধমান নিষ্পত্তিযোগ্য আয়ও বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা তৈরি করছে।

ভবিষ্যতে, দেশের ব্যবসায়িক খাত দক্ষ বাণিজ্য ও রপ্তানি কার্যক্রম সহজতর করার জন্য পরিবহন এবং লজিস্টিক সহ অবকাঠামোতে অব্যাহত বিনিয়োগের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে। সরকারী নীতি যা উদ্যোক্তা, উদ্ভাবন এবং টেকসই উন্নয়নকে সমর্থন করে তা বেসরকারি খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, অর্থায়নে বর্ধিত অ্যাক্সেস এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বাংলাদেশে ব্যবসার বৃদ্ধিকে আরও অনুঘটক করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশের সেরা ১০ টি কোম্পানি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এবং ব্যবসায়িক খাতে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনই দেশের সেরা ১০ জিনিস গুলো জানতে উক্ত লিংকে ক্লিক করুন অথবা বাংলা আলো ওয়েবসাইটের Top 10 Things ক্যাটাগরিটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। 

Bangla Alo

Recent Posts

মন ভালো রাখার উপায় || মন সুস্থ রাখার ১০ টি টিপস

মানুষের মন যেহেতু আছে এটা ভালো কিংবা খারাপ থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়।  একটা…

4 weeks ago

বাংলাদেশের সেরা ১০ টি মেডিকেল কলেজ

বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে সাথে, ভালো মানের মেডিকেল কলেজের তালিকা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।…

2 months ago

সেরা ১০ টি গল্পের বই || বাছাইকৃত লেখকের সেরা ১০ টি বই

গল্পের বই পছন্দ করেন? পড়ার জন্য সেরা গল্পের খোজে আছেন? সে সুবাদে অনলাইনে সার্চ করে…

2 months ago

ভিসা ও পাসপোর্ট কি? একটি ভিসা এবং পাসপোর্টের মধ্যে পার্থক্য সমূহ

যারা সঠিক তথ্যটি জানেনা তাদের অনেকের ধারণা - ভিসা এবং পাসপোর্ট মূলত একই কাজ করে…

2 months ago

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নেয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত (২০২৪)

আপনার কি Loan বা ঋণ প্রয়োজন? আচ্ছা আপনি কি একজন প্রবাসী কিংবা আপনার পরিবারের কেউ…

2 months ago

ইসলামে নিষিদ্ধ ব্যবসা || যে সকল ব্যবসা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম

একজন মুমিন ব্যক্তি হিসেবে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত আপনি যে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাকে…

2 months ago