হোস্টিং ব্যবসা । কিভাবে ওয়েব হোস্টিং ব্যবসা শুরু করবেন

আপনি কি হোস্টিং ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? কিভাবে শুরু করলে ভালো হবে বুজতে পারছেন না? হোস্টিং ব্যবসার পুর্ণাঙ্গ গাইডলয়াইন থাকছে একটি আর্টিকেলেই। এটুকু অবশ্যই বলতে পারি, আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি ভালো ভাবে পড়েন তবে হোস্টিং ব্যবসা সংক্রান্ত যতগুলো বিষয় আছে সব জানতে পারবেন এবং হোস্টিং ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবেন।  

এমন একটা সময়ে যেখানে প্রতিটা সেক্টরের জন্য রয়েছে অসংখ্য ওয়েবসাইট, এবং সেটার পরিমান দিন দিন বেড়েই চলছে। আর সেই সব ওয়েবসাইট গুলোর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে হোস্টিংয়ের – এরুপ সিচুয়েশনে চাহিদা সম্পন্ন হোস্টিং সেবার ব্যবসা করতে চাওয়াটাই স্বাভাবিক। 

তাই এবারের আর্টিকেলে জানাবো ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন সেবা – হোস্টিং ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত। জানাবো হোস্টিং এর খুঁটিনাটি তথ্য, কেন ও কিভাবে হোস্টিং ব্যবসা শুরু করা যায় সেই গাইডলাইন। আপনি যদি হোস্টিং ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ইচ্ছা প্রসণ করেন তবে এই আর্টিকেলটি আপনাকে বেশ উপকৃত করতে যাচ্ছে। 

পুরো আর্টিকেল জুড়ে যা থাকছে..

  • হোস্টিং কি
  • হোস্টিং ব্যবসার ধারনা
  • কেনো করবেন হোস্টিং ব্যবসা
  • হোস্টিং ব্যবসা শুরুর আগের প্রস্তুতি
  • হোস্টিং ব্যবসায়ের জন্য যা প্রয়োজন
  • কিভাবে হোস্টিং ব্যবসা করার যায়

তবে চলুন শুরু করা যাক এবারের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু..

হোস্টিং কি?

হোস্টিং হচ্ছে একটা স্পেস বা জায়গা। আমরা বাস্তবিক জীবনে বসবাসের জন্য কোনো না কোনো জায়গাতে অবস্থান করছি রাইটা? তেমনই অনলাইন দুনিয়ায় কোনো কিছুকে রাখতে যে স্পেস বা জায়গা প্রয়োজন হয় তাকেই হোস্টিং বলা হয়ে থাকে। 

হোস্টিং হলো এক ধরনের ওয়েব সার্ভার যেখানে সব ধরনের ডাটা স্ট্রোর করে রাখা হয়। একটি ওয়েবসাইত বা ব্লগের সমস্ত ডাটা যেখানে স্টোর করা হয় বা যার মাধ্যমে স্টোর করা হয় সেটাই হোস্টিং। যখন কোনো ইউজার সেই ডাটা গুলো গ্রহন করতে চায় তখন নিদিষ্ট ডোমেইন নেমকে কেন্দ্র করে সেই ডাটা গুলো গ্রহন করতে পারে। 

ডোমেইন হোস্টিং হলো এক ধরনের ওয়েব হোস্ট যা বিভিন্ন সার্ভারকে একত্রে কানেক্ট করে ইন্টার্নেটের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন প্রভাইডারদেরকে হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইড করে। 

হোস্টিং কত ধরনের হয়ে থাকে?

সাধারণত হোস্টিংকে মূলত ৬ টি আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করা হয়েছে যাতে করে প্রতিটা ক্ষেত্রের ব্যবহারের দিক থেকে ভিন্নতাকে বজায় রাখা যায়। যেগুলো হচ্ছে: 

  • Dedicated Hosting: যদি কোনো সার্ভার একান্ত একটি ওয়েবসাইটের জন্যই তৈরি করা হয়ে থাকে তবে তাকে ডেডিকেটেড হোস্টিং বলে। এক্ষেত্রে একটি কম্পিউটারে সিপিইউ এ থাকা র‍্যাম, হার্ড ডিস্ক, প্রসেসর সব একটি ওয়েবসাইটের মালিকের জন্য বরাদ্দ থাকে।
  • VPS Hosting: উপরে উল্লেখিত সিপিইউ কে ভাগ করে যদি আলাদা করে সাব মেশিন বা ভার্চুয়াল মেশিন তৈরি করা হয় তখন সেটাকে ভিপিএস বলা হয়ে থাকে। এটার ব্যাপারটা এমন যে একটি সিপিইউ এর যাবতীয় যে সকল বিষয় আছে একাধিক লোক সেগুলোর মালিকানা গ্রহন করলো। যেমনটা ধরা যায় একটি বাড়িতে ৪-৫ টা ঘর আছে, প্রতি ঘরে একজন থাকছে এমনই।
  • Shared Hosting: আমরা জেনেছি ভিপিএস হোস্টিং কি সেই সম্পর্কে। এখন একটি ভিপিএস যখন আলাদা আলাদা অনেক গুলো ইউজার একত্রে ব্যবহার করবে তখন সেটাকে শেয়ার্ড হোস্টিং বলা হবে। একটি শেয়ার্ড হোস্টিং এ কতজন ইউজার থাকবে তা হোস্টিং প্রোভাইডার নির্ধারন করে থাকে।
  • Manage Hosting: কোনো কোম্পানি যদি তাদের ইউজারদের বিশেষ সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে বেটার পার্ফরম্যান্স প্রদান করে তবে সেটাকে ম্যানেজ ওয়েবসাইট বলে। বড় বড় কোম্পানি গুলো এরুপ হোস্টিং ব্যবহার করে থাকে। যেমন ওয়ার্ডপ্রেসে জন্য আলাদা ভাবে ম্যানেজ হোস্টিং পাওয়া যায় যা ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং নামেই পরিচিত।
  • Cloud Hosting: এটি বিশেষ এক ধরনের হোস্টিং সেবা, এক্ষেত্রে যা করা হয় বিভিন্ন দেশে একেকটি করে সার্ভার তৈরি করা হয়। যখন কোনো ইউজার যে দেশ থেকে ডোমেইনের সাহাযে ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে তখন সে দেশের সার্ভার অনুযায়ী তাকে রিডাইরেক্ট করা হবে। এতে করে খুব দ্রুত ওয়েবসাইট লোড হয়। এই টাইপের সেবাকেই ক্লাউড হোস্টিং বলে।
  • Reseller Hosting: হোস্টিং কিনে পুনরায় তা বিক্রি করাকেই রিসেলার হোস্টিং বলে। আজকের আর্টিকেলে যে হোস্টিং ব্যবসা সম্পর্কে বলবো সেটার এক অংশ এই রিসেলার হোস্টিং। এক্ষেত্রে একজন পুরো সিপিইউ কিনে নেয়। এর পর এখানেই VPS, Shared Hosting নামকরন করার মাধ্যমে আলাদা আলাদা ইউজারদের কাছে ভাড়া প্রদান করে।

হোস্টিং ব্যবসার ধারনা

আপনি যদি হোস্টিং ব্যবসা করতে চান তবে কিছু বিষয়ে বেশ ভালো ধারনা থাকতে হবে। খুব ভালো হয় যদি আপনি কম্পিউটার সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের হয়ে থাকেন তবে সূক্ষ বিষয় গুলো আপনি নিজেই সল্ভ করতে পারবেন তাছাড়া কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার এক্সপ্রিরিয়ান্স কাজে আসবে। 

মনে রাখতে হবে দ্রুত অর্থ উপার্জনের ব্যবসা এটি না। এখানে প্রয়োজন হবে ব্যাপক ধৈয্য, অর্থ বিনিয়োগ ও নিজের পুরোটা সময়। আপনি যদি এগুলো প্রদান করতে পারেন তাহলেই হোস্টিং ব্যবসা তে এন্ট্রি মারবেন। 

কম্পিউটার সম্পর্কে খুব ভালো ধারনা না থাকলে আপনাকে অবশ্যই প্রোফেশনাল কাউকে হায়ার করতেই হবে। কারন এখানে সূক্ষ ভুলের কারনে অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে নিমিশেই। 

হোস্টিং ব্যবসা শুরুর আগের প্রস্তুতি

অন্য সকল ব্যবসায়ের মত হোস্টিং ব্যবসা শুরু করার আগেও বেশ কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। প্রথমেই যে বিষয়টি আপনার ভাবা উচিৎ যে, আপনি এই ব্যবসায়ের পিছনে কতটুকু সময় ব্যয় করতে পারবেন বলে মনে করে? প্রশ্নটি এই কারনে যে, আপনি যদি মনে করেন একবার কারো কাছে হোস্টিং বিক্রি করে দিলাম ব্যাস কাজ শেষ, তাহলে খুব বড় ভুল হবে এটাই। কারন হোস্টিং এমন একটি ব্যবসা যেখানে ইউজারকে হোস্টিং ভাড়া দেয়াই কাজ শেষ নয়, বরং শুরু। 

বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন ইউজারদের ২৪ ঘন্টাই সাপোর্ট দিয়ে যেতে হবে আপনাকে। আপনি কি তা পারবেন কিনা তা অবশ্যই আগে ভেবে নিন। আবার আপনি যদি চান উক্ত কাজের জন্য কাউকে হায়ার করবেন তাহলেও হবে সেক্ষেত্রে খরচা গুনতে হবে অধিক। 

আপনার অবশ্যই এটা স্মরণে রাখা উচিৎ যে হোস্টিং বিষয়ক টেকনিক্যাল জ্ঞান আপনি কতটুকু রাখেন, অনলাইনে হোস্টিং একটা বড় সড় ব্যাপার। একজন মানুষ সব বিষয়ে দক্ষ হবে না এটাই স্বাভাবিক, তাছাড়া জানা থাকলেও সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট এবং এক সাথে একাধিক গ্রাহককে কাস্টমার সেবা দেয়াটাও বেশ জটিল ব্যাপার হবে। 

তাছাড়া অবশ্যই মূলধনের ব্যপারেও বেশ সচেতন হতে হবে, এই ব্যবসায়ের জন্য ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল টিমকে বেতন প্রদান পর্যন্ত যাবতীয় অনেক বিষয়ে খরচ রয়েছে যা নিম্মে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এই ক্ষেত্রে আপনি কতটুকু সার্ভাইব করতে পারবেন যেখানে প্রথম দিকে আপনার লাভের মুখ দেখতে দেখতে অনেক সময় পার হবে। সেই ব্যাপার গুলো নিয়েও ভাবা উচিৎ। 

অনেক বেশি কঠিন কথা বলে ফেলছি মনে হয়, আসলে বাস্তবিক দিক গুলো আগে ভাগেই যেনে নিয়ে মাঠে নামা ভালো কারন এসব কঠিন কথা আগে থেকে না জেনে মাঠে নামার পর যখন কঠিন ব্যাপার গুলো ধরা দিবে তখন ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার মতন ব্যাপারও হতে পারে। তাই আগে থেকে এসব জানা দরকার। এবার জেনে নিন হোস্টিং ব্যবসা করার জন্য কি কি দরকার সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।

হোস্টিং ব্যবসায়ের জন্য যা প্রয়োজন

ডোমেইন

একটি সুন্দর নাম একটি ব্যবসায়ের উপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। হোস্টিং ব্যবসায়ের জন্য প্রয়োজন এমন একটি ডোমেন নেম যা আপনার ব্যবসাকে আইডেন্টিফাই করতে সাহায্য করবে। বর্তমানে একটি ডোমেইন ১০ ডলারের মধ্যেই পাওয়া যায়। স্পেশাল ইভেন্টে তার দাম আরো কম হয়ে থাকে। 

ওয়েবসাইট

হোস্টিং ব্যবসা করার ক্ষেত্রে যে একটা ওয়েবসাইট প্রয়োজন তা কি আর বলতে হয়? একটি সুন্দর লেআউট সম্পন্ন ওয়েবসাইৎ যদি ওয়েব ডিভিলপারদের দিয়ে তৈরি করতে যান সেক্ষেত্রে অনেক বেশি খরচ পড়ে যাবে। তবুও আপনি যদিও চান দারুন ভাবে ওয়েবসাইটটি বানাবেন তাহলে এক্ষেত্রে খরচ পড়তে পারে ২০০ থেকে ১০০০ ডলার অব্দি। 

অন্যদিকে আপনি যদি রেডিমেট কোনো থিম কিনে ওয়ার্ডপ্রেসে ইন্সটল করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তবে সেক্ষেত্রে খরচ হবে ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত। এখানে মূলত ডিপেন্ড করবে আপনার বাজেট কেমন। যেই বাজেটেই চান সেই বাজেটেই ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়া যায়।

বিলিং সফটওয়্যার

একটি বিলিং সফটওয়্যার আপনার কাজ অনেকটা সহজ করে দিবে। একটা বিলিং সফটওয়্যারের কাজ হলো – ক্লাইয়েন্ট যখন হোস্টিং এর জন্য উপযুক্ত পেমেন্ট প্রদান করবে তখন অটোমেটিকলি তার জন্য ইউজার একাউন্ট ক্রিয়েট করা থেকে শুরু করে ইমেইল সেন্ড পর্যন্ত সকল কাজ করে দিবে। যা কাস্টম ভাবে করতে গেলে আপনার প্রচুর সময় ব্যয় হবে। 

আপনি যদি বিলিং সফটওয়্যার কিনতে চান তবে দাম পড়বে ২০০ থেকে ৩০০ ডলারের মত। তবে আপনি যদি রিসেলার হোস্টিং কিনে ব্যবসা করতে চান তবে দেখা যায় অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার বিলিং সফটওয়্যার নিজেরাই প্রদান করে থাকে। তাই যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনবেন রিসেলিং এর জন্য এই প্রোভাইডার কি বিলিং সফটওয়্যার প্রদান করে দিবে নাকি সেটা আগে জেনে নিবেন। 

রিসেলার হোস্টিং

কিছুক্ষন আগে বলেছিলাম রিসেলার হোস্টিং সম্পর্কে যেখানে উল্লেখ্য ছিলো রিসেলার হোস্টিংটা কি এবং কিভাবে কাজ করে। আপনি যদি প্রথম দিকেই খুব বড় সড় ইনভেস্টমেন্ট হোস্টিং ব্যবসায়ে না প্রয়োগ করতে চাইলে বড় কোম্পানি গুলো থেকে রিসেলার হোস্টিং কিনে বিভিন্ন প্যাকেজ চালু করে ভাড়া দিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রাথমিক হোস্টিং ব্যবসা সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞানার্জন সহ বেশ ভালো ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। 

অফিস বা ঠিকানা

যদিও অফিসের বিষয়টা এতোটাও গুরুত্বপূর্ণ নয় প্রথম দিকে, আপনি চাইলে নিজ বাসাতেই হোস্টিং সার্ভার তৈরি বা ম্যানেজ করতে পারবেন। তবে যদি ইউজারের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসা প্রসারিত হয় এবং লোকবল নিয়োগ দিতে হয় তাহলে একটি নিদিষ্ট ঠিকানা সরূপ অফিসের থাকাটা প্রয়োজন। তাছাড়া একটি অফিস থাকা আপনার ক্লাইয়েন্টদের কাছে খুব পজিটিভ ভাইব প্রদান করবে। 

মার্কেট এনালাইসিস ও মার্কেটিং

এবার আসি হোস্টিং ব্যবসায়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে। আপনি সব কিছু করলেন কিন্তু মার্কেটিং নয়, তাহলে কিন্তু আপনি তেমন একটা ক্লাইয়েন্ট খুজে পাবেন না। আপনার যদি টার্গেট থাকে বাংলাদেশি ক্লাইন্টদের নিয়ে কাজ করা সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মার্কেটে কোন হোস্টিং সবচেয়ে বেশি চলে এবং কেমন প্রাইজিং এ হোস্টিং পেতে ইচ্ছুক সেসকল বিষয়ে এনালাইসিস করেই তা পরিচালনা করতে হয়। তাই আপনাকে অবশ্যই মার্কেটিং এর ব্যাপারে বেশ জোর দিতে হবে। 

আফটার সেল সার্ভিস

অন্য সব প্রোডাক্টের মত বিক্রি করে দেয়ার পরেই দায় ছাড়া হাল হোস্টিং ব্যবসায়ে নেই, হোস্টিং এক ধরনের সেবা যেটা বিক্রি করে দেয়ার পর থেকে শুরু হয়। আপনার After sell service হতে হবে দুর্দান্ত কারন এই একটি বিষয়ই পারে আপনার ব্যবসাকে দীর্ঘমেয়াদি করে তুলতে। হোস্টিং ক্রয়ের পর কোনো ক্লাইয়েন্ট যদি ঠিক ভাবে সার্ভিস না পায়, সমস্যায় পরার পর সেটার সমাধানের সাপোর্ট না পায় তবে সে পরের বছর থেকে আপনার কাছ থেকে সার্ভিস গ্রহন করবে কি না সেই বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। 

কিভাবে হোস্টিং ব্যবসা করার যায়

বাংলাদেশে হোস্টিং ব্যবসা ধিরে ধিরে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। আজ বাংলাদেশে অনেক গুলো হোস্টিং প্রোভাইডার রয়েছে তবুও সেগুলো পর্যাপ্ত নয়। সাধারণত যারা হোস্টিং ব্যবসা করে তাদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়। 

প্রথম ধাপে থাকছে তারা, যারা কিনা নিজেরা সার্ভার কিনে সেই সার্ভারে সি প্যানেল ইন্সটল দিয়ে বিভিন্ন টাইপ হোস্টিং প্যাকেজ সার্ভিস প্রদান করে। আরেক হচ্ছে তারা, যারা কিনা বড় বড় হোস্টিং কোম্পানি থেকে রিসেলার হোস্টিং কিনে সেগুলো ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। 

বাংলাদেশে যারাই হোস্টিং ব্যবসা করে তাদের বেশির ভাগই ২য় নাম্বার ধরনের ব্যবসা করে থাকে। প্রথম দিকেই যদি সার্ভার কিনে হোস্টিং ব্যবসা করতে যান তবে সেটার খরচ এতো হবে যা অনেকেই একক ভাবে বহন করতে পারবে না। 

তাই আপনি যদি একেবারে নতুন হয়ে থাকেন এবং চাচ্ছেন ছোট থেকেই হোক হোস্টিং ব্যবসা শুরু করবেন তবে ওয়াল্ড ওয়াইড বড় কোনো হোস্টিং কোম্পানি থেকে রিসেলার হোস্টিং কিনে সেখানে VPS, Shared হোস্টিং তৈরি করে সেগুলো ভাড়া প্রদান করে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। পরবর্তীতে খুব সহজেই ব্যবসা প্রসারিত করতে পারবেন।   

আর্টিকেল থেকে যা শিখলেন

পরিশেষে, এই ছিলো হোস্টিং ব্যবসা সংক্রান্ত প্রাথমিক যাবতীয় ধারনা এবং পুর্নাঙ্গ গাইডলাইন যেখানে হোস্টিং, হোস্টিং ব্যবসা এর ধারনা, পূর্ব প্রস্তুতি সহ কিভাবে হোস্টিং ব্যবসা করবেন সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানানো হয়েছে। আয় করার ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প হিসাবে হোস্টিং ব্যবসা কতটা দারুন তা বোঝানো হয়েছে আর্টিকেলটিতে। হোস্টিং ব্যবসা ব্যাতিত আপনি যদি আরো অন্যান্য ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান তবে এই ওয়েবসাইটিতে অনুসরণ করুন। কারন বাংলা আলো প্রতিনিয়ত ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে প্রতিটি আপডেট ও নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানান দিয়ে থাকে। 

Bangla Alo

Recent Posts

অর্কিড ফুল চাষ পদ্ধতি, রোগবালাই দমন, ফলন ও ফুল সংগ্রহ

অর্কিড, খুব কঠিন একটা নামের সুন্দর একটা ফুল। আজকে আপনাদের সাথে চমৎকার একটি ফুল নিয়ে…

2 weeks ago

৫টি জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গানের লিরিক্স

প্রতিটা দেশেরইই একক কিছু দেশাত্মবোধক গান থাকে তেমনি বাংলাদেশেও রয়েছে এমন অনেকগুলো দেশাত্মবোধক গান।  আমরা…

2 weeks ago

ইসলামিক পদ্ধতিতে ওজন কমানো এবং সুস্থ থাকার উপায় জানুন

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমাদের আজকের জানার বিষয় হলো -…

2 weeks ago

বেগুন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন, নিজে চাষ শুরু করুন

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে বেগুন চাষ…

2 weeks ago

ওমরা ভিসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশা করি মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ও অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো…

2 weeks ago

কনফেকশনারি ব্যবসার আইডিয়া || শুরু থেকে শেষ অব্দি

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর ইচ্ছায় সবাই ভালো আছেন। আমাদের দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ…

2 weeks ago