–
ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়
–
বাংলাদেশের পেক্ষাপটে ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় তুলনামূলক ভাবে কমই আছে যার অন্যতম কারন আমাদের দেশের মানুষেরা ছোট ছোট কাজ গুলোকে প্রায় অবজ্ঞা করে যায়। বাইরের কোনো উন্নত দেশ গুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে সেখানের প্রায় প্রতিটি ছাত্র নিজের হাত খরচের টাকা কোনো না কোনো কাজ করার মাধ্যমে উপার্জন করে থাকে।
তবে আমাদের দেশের চিত্র যে একেবারেই তেমন নয় সেটা বলাও যাবে না। কারন আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা নিজের খরচ নিজে বহন করে ছাত্র থাকা অবস্থায়। তাহলে তারা করে কি? সেই ছোট খাটো কাজ? হ্যা অবশ্যই তবে সেসব কাজ যা একজন শিক্ষার্থীকে করা মানন্সই হবে।
জানতে ইচ্ছুক সেসব কাজ সম্পর্কে? তবে পুরো আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন কারন এবারের আলোচনা থাকলে গুরুত্বপূর্ণ টপিকটি “ ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় “ এবং থাকবে এই পথে আসলে কি করা উচিৎ কি ভালো হবে কি খারাপ হবে সহ খুটিনাটি সকল বিষয়।
এই প্রশ্নের জবাবে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। প্রথমত বুজতে হবে কেনো আপনার আয় করা প্রয়োজন? বেশির ভাগের ক্ষেত্রে যা হয় তা হচ্ছে আর্থিক ভাবে সচ্ছলতা আনা। যদি আপনি আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হয়ে থাকেন তবে আপনার অবশ্যই উচিৎ হবে ছাত্র জীবন থেকেই আয় করার প্রবণতা নিজের মধ্যে ডেভেলপ করা।
এরপর আরেকটি কারন হচ্ছে, কাজ করার মাধ্যমে আপনি একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বাইরের বাস্তব জীবনে কি হচ্ছে না হচ্ছে সে বিষয়ে জেনে নিজেকে তেমন ভাবে গড়ে তোলা যেমনটা হলে ছাত্র জীবন পার করার পর আর কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় দক্ষতা মূলক।
বর্তমানে এটা আমরা সবাই জানি যে, যেকোনো জবের জন্য এপ্লাই করলে প্রথমেই জানতে চাওয়া হয় দক্ষতা সম্পর্কে। যে যত বেশি দক্ষ, চাকরি বাজারে সে তত বেশি সফল। আর তাই ছাত্র জীবন থেকেই যদি স্কিল ডেভেলপমেন্টের কাজে লেগে থাকেন তবে দিন শেষে সেটা আপনার জন্য অবশ্যই একটা হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপিত হবে।
তাছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যার জন্য ছাত্র জীবন থেকেই কাজ করা শুরু করা উচিৎ। এটা অনেকেই শুনেছি যে কোনো কাজকে ছোট করে দেখা উচিৎ নয়। তবে আপনি যদি ছোট কোনো কাজ করতে যান তবে সেই লোকেরাই কিন্তু আড়ালে আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করবে। এক্ষেত্রে হয় আপনার সমালোচনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সে সকল কাজ করা উচিৎ যেগুলো আপনার আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনে। নয়তো এমন কাজ করা উচিৎ যা আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানিয়ে যায়।
তাই আজ এমন বেশ কিছু কাজের সন্ধান দিবো যেগুলো মোটামোটি সব ধরনের মানুষের জন্য মানন্সই এবং সহজেই সেগুলো করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আপনি জানছেন ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে। তবে শুরু করা যাক।
এখানে যে কাজের কথা বলবো সেগুলোর মধ্যে কিছু কাজ এমন যেখানে স্কিলের প্রয়োজন হবে বেশ করে। আবার কিছু কাজ হবে এমন যা ছাত্র অবস্থায় আপনি সহজেই করতে পারবেন। একাধিক ক্যাটাগরির কাজের খোজ দিবো এখানের মধ্যে যেটা আপনার কাছে পছন্দের সেটা সিলেক্ট করতে পারেন। উক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে সেই কাজের ব্যাসিক ধারনটা নিন, পরবর্তীতে সেই কাজ কিভাবে করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও বাংলা আলো ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।
একটা ছাত্র হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে একটা বিষয় সর্বদা স্মরণ রাখতে হবে যে, আপনি কেবল ব্যাসিক আয় করার জন্যই বা দক্ষতা অর্জনের জন্যই কাজ করছেন। কাজ করাটা মোটেও আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য নয় এই মুহুর্তে।
তাই এমন কাজ সিলেক্ট করা যাবে না যেই কাজে বেশি সময় বিনিয়োগ করতে হয়। আপনার পড়াশোনার ব্যাপারটা ঠিক রেখে যেটুকু সময় ফ্রি থাকবে সেই সময়টুকুই কাজে লাগিয়ে কিভাবে আয় করতে হয় সেটা জানার বিষয়। তাই এই তালিকার কাজ গুলো নির্ধারন করা হয়েছে এমন ভাবে যা একজন ছাত্রের দ্বারা করা সম্ভব।
কাজ গুলোকে দুই ভাবে ভাগ করেছি যার একটি হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক যা করার জন্য আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। ঘরে বসে যেকোনো সময়ে উক্ত কাজ গুলো করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা পিসি থাকা প্রয়োজন সাথে ইন্টারনেট।
অন্যদিকে রেখেছি অফলাইন ভিত্তিক কাজ যেগুলো করার জন্য অবশ্যই ঘরের বাইরে যেতে হবে। ল্যাপটপ, কম্পিউটার থাকা গুরুত্বপূর্ণ না তবে এই কাজ গুলোতে তুলনামূলক ভাবে বেশি কষ্ট হয়ে থাকে। তবে আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাই সেই কাজ গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে।
আমরা সাভাবিক ভাবে এটা জানি যে ছাত্র অবস্থায় সবচেয়ে বেশি যে কাজ করা হয়ে থাকে উপার্জনের জন্য তা হলো টিউশন। টিউশন পড়ানো একদিনে যেমন আর্থিক সচ্ছলতা আনার কৌশল অন্যদিকে এটা বেশ জ্ঞান অর্জনের উপায়ও। যারা প্রতিনিয়ত পড়াশোনার মধ্যে থাকতে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই উক্ত কাজটি করতে পারেন।
কেনো করবেন টিউশন? কারন উক্ত কাজে দিনে আপনাকে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে নাহ। নিদিষ্ট একটা সময়ে টিউশন করাবেন। এবং কখনই অতিরিক্ত টিউশন করানোর কথা মাথায় আনবেন না, স্পেসিফিক কোনো সংখ্যা বলছি না কারন সবার টাইমিং এক রকমের নয়। আপনার নিজের ফ্রি সময় অনুযায়ী এটা নির্ধারন করবেন যে আপনি ডেইলি কয়টি টিউশন করাতে পারবেন।
টিউশন কোথায় পাবো? বর্তমানে এটা পাওয়া আহামরি কোনো কাজ নয়। আপনি কি টিউশনের জন্য লিপলেট লাগাবেন বিভিন্ন স্থানে? মোটেও না, এটা এক সময় কার্যকর ছিলো কিন্তু এখন আর নয়। এর জন্য আপনি সোসাল মিডিয়ায় চোখ রাখতে পারেন।এখন অনেক টিউশন মিডিয়া প্লাটফর্ম গড়ে উঠেছে। আপনি যে এরিয়াতেই থাকেন না কেনো, ফেসবুকে সেই লোকেশনের নাম লিখে টিউশন মিডিয়া এড করে সার্চ করলেই অসংখ্য পেজ, গ্রুপ এসে পড়বে। যেখানে প্রতিনিয়ত টিউশনের খোজ পাওয়া যায়। যদিও তাদের নিদিষ্ট পরিমানের অর্থ চার্জ করতে হয় তবে পাওয়া যায় সহজেই এটাই কম কি। তাছাড়া আপনার আত্মীয় এবং বড় ভাইদের জানিয়ে রাখলে তাদের থেকেও টিউশনের অফার আসবে।
শুনতে বেশ পরিচিত মনে হচ্ছে? হ্যা ছাত্র হিসেবে আপনি পার্ট টাইম জন বেছে নিয়ে পারেন। ফুল টাইম করতে হয় এমন কাজ তো কখনই করা যাবে না। আবার পার্ট টাইম জব গুলো তারাই করবেন যারা ইউনিভার্সিটি লেভেলে পড়াশোনা করছেন। স্কুল বা কলেজের ছাত্রদের জন্য এই কাজ মোটেও ঠিক হবে নাহ। বিশেষ করে যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা বিভিন ধরনের পার্ট টাইম জব করতে পারেন।
প্রশ্ন হচ্ছে পার্ট টাইম জব তো করবো কিন্তু কাজ কি হবে? আসলে পার্ট টাইম অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যা এক এক করে বলতে গেলে প্রচুর বড় হয়ে যাবে আর্টিকেল এবং এক আর্টিকেলে বলা সম্ভব নয়। তবে পার্ট টাইম জবের তালিকা চাইলে ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন। তবে বিভিন্ন জব পোর্টাল সাইট গুলো প্রায়ই পার্ট টাইম জবের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় জব পোর্টাল সাইট বিডিজবস এ দেখে নিয়ে পারেন এখন কোন কোন জবের পার্ট টাইম Opurtunity রয়েছে।
ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে যারা মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করছে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো কাজটি হচ্ছে বিভিন্ন শো রুম গুলোতে সেলস ম্যানের কাজ করা। এতে একাডেমিক ব্যাপার গুলোর সাথে কাজেরও মিল খুজে পাবে। কাজ করতে ভালো লাগবে।
তাছাড়া কেবল শো রুম গুলোতেই নয় বরং প্রতিটা কোম্পানির SR হওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে যা পরবর্তীতে নিজের সিভিতেও এড করা যাবে। দক্ষতামূলক কোনো কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে চাইলে সেলস ম্যানের কাজটি বেশ ভালো।
শো রুমের দিক থেকে বাংলাদেশর পেক্ষাপটে – এপেক্স, বাটা, আড়ং, টপ ওয়ান, ফর ইউ, প্রাণের বেস্ট বাই, ভিশন, ওয়ালটন এর শো রুম গুলোর ব্যবস্থা খুব ভালো এবং তুলনামূলক সম্মান দেয়া হয় একাজে। বিভিন্ন সময় পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম কাজের অফার দিয়ে থাকে এসব শো রুম গুলো আপনি যদি ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে থেকে থাকেন তবে এই কাজ গুলো ট্রাই করতে পারেন।
অনলাইনের বেশির ভাগ কাজই স্কিলের উপর নির্ভর করে। অনলাইনে কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে জিজ্ঞাস করা হবে না যে আপনি কোন ক্লাসে পড়েন বা কোন ইন্সটিটিউড থেকে পড়ালেখা করতেছেন। এখানে শুধু দেখা হয় যোগ্যতা আপনি কোন কাজ সবচেয়ে ভালো পাবেন সে ব্যাপার গুলো এখানে মূখ্য। এখন কথা হচ্ছে কোন বিষয়ের স্কিল বা কাজের ধরন গুলো কি? সেগুলো নিয়ে বলছি –
আপনি এই আর্টিকেলটি যেখান থেকে পড়ছেন সেটা একটা ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটি যদি একক ভাবে কোনো একজন তার ব্যক্তিগত জ্ঞান, আইডিয়া শেয়ার করতো তাহলে সেটাকে ব্লগ বলা হতো। যদিও একটা ব্লগ একাধিক লোক দ্বারাও পরিচালিত হতে পারে। অন্যদিকে ইউটিউব নামক যে প্লাটফর্মটি রয়েছে সেখানে প্রতিদিন অসংখ্য নতুন ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে এসব ভিডিও গুলো তারা কেন তৈরি করে আপলোড করছে বা এই সকল ওয়েবসাইটে কেনো এতো কষ্ট করে আর্টিকেল আপলোড করছে? করছে কারন এখান থেকে আয় করার ব্যবস্থা রয়েছে। জানুন ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত।
আপনি যেকোনো বিষয়ে উক্ত কাজ গুলো করতে পারেন, হতে পারে সেটা ভিডিও আকারে উপস্থাপন অথবা লিখার মাধ্যমে। উক্ত সাইট গুলো থেকে গুগলের এডসেন্স পলিসির মাধ্যমে এডভার্টাইজ দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় তা দেখে শিখে নিন।
কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আয় করছে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থী তাদের জানা বিষয় গুলোর উপর লিখে ফেলছে আর্টিকেল এবং সেই আর্টিকেলের মাধ্যমে করছে আয়। কন্টেন্ট কি? যেকোনো জিনিস,যে কোনো বিষয় কন্টেন্ট হতে পারে যদি সেটা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা যায়। তবে হ্যা কন্টেন্ট রাইটিং একটা মহা জ্ঞানের ব্যাপার। যেসকল শিক্ষার্থীরা পরিক্ষার খাতায় লিখতে পারে না তারা অবশ্যই এখানেও লিখতে পারবে না।
তবে হ্যা বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে অনেক কিছু নির্ভর করে। হতেই পারে একজন শিক্ষার্থী একাডেমিক পড়াশোনায় ভালো না তবে অন্যান্য সেক্টর তার অঢেল জ্ঞান। সে চাইলেই তার জ্ঞানের বিষয়টা লিখে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারে। কন্টেন্ট যে কেবল আর্টিকেল লিখা সেটাও আবার নয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্লগ পোস্টিং, নিউজ আর্টিকেল, কপি রাইটিং সহ আরো অনেক শ্রেনী বিভাগ। আপনি চাইলে একটি বা একাধিক শ্রেনী নিতে কাজ করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনাকে শিখতে হবে।
কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজটা এমন না যে যেকোনো বিষয়ে যেকোনো ভাবে লিখে ফেললাম আর হতে গেলো, বরং এটার সাথে জরিত খুঁটিনাটি সকল বিষয় জানতে হয় যার মধ্যে Must Be লাগবে SEO এর জ্ঞান। যাই হোক এই আর্টিকেলে কন্টেন্ট রাইটার হওয়া পুরোটা বলছি নাহ। আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর ইন্টারেস্টেড হলে শিখে নিতে পারেন।
তবে যেটা অবশ্যই বলবো তা হলো ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় হিসেবে কন্টেন্ট রাইটিং সব সময় সেরা। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ রয়েছে তেমনই আয় করার। যদি আপনি এই কাজে দক্ষ হয়ে ডেইলি ৩ থেকে ৫ ঘন্টা সময় দেন তবে মাস শেষে আপনার পকেটে অনায়াসেই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা এসে পড়বে এই একটা কাজের মধ্য দিয়েই। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে পাঠের পিপাসু হতে হবে এবং প্রচুর ধৈয্যের প্রয়োজন হবে।
আমাদের বাস্তব জীবনটা যতই বড় হোক না কেনো অনলাইনে এটা মহাবিশ্ব যার শুরু তো আপনার নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোন থেকে কিন্তু শেষ কোথায় তা কেউ জানে না। অনলাইনের জগৎ এ নেই এমন কোনো বিষয়ই নেই। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে আয় করা যাবে না এমন কোনো কাজই নেই। তবে সব কাজ তো আর আপনি স্টুডেন্ট থাকা কালীন সময়ে করতে পারবেন না। যে কাজ গুলো করতে পারবেন এবং বেশি সময় খরচ বা আহামরি দক্ষতা লাগবে নাহ তেমন কাজ হচ্ছে
সিপিএ এর পুরো নাম হচ্ছে Click Per Action যার মানে হচ্ছে প্রতিটি একশন কমপ্লিটের মাধ্যমে আয় করা। ওয়েট এখানে মোটেও মারামারি টাইপ একশনের কথা বোঝানো হয়নি। এখানে একশন বলতে কাজ করাকে বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ছোট খাটো কাজ যেমন : ইমেইল তৈরি করা, ভিডিও দেখা, লাইক দেয়া, সাবস্ক্রাইব করা, এডস এ ক্লিক করা, অ্যাপ ডাউনলোড করা, ওয়েবসাইট ভিজিট করার মত কাজ যা রেগুলারই আমরা করে থাকি।
এসব করার মাধ্যমে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে। এই কাজে আহামরি স্কিল বা জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না কেবল ব্যাসিক লেভেলের ব্রাউজিং করার মত জ্ঞান থাকলেই হয়। ছোট খাটো এই কাজ গুলো করার মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমানের অর্থ আয় করার সুযোগ রয়েছে। \
নিজের মত করে যেকোনো ফ্রি সময়ে উক্ত কাজ গুলো করতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম হওয়ায় পেমেন্ট গ্রহনে অবশ্যই ডুয়েল কারেন্সির একাউন্ট অথবা পেওনিয়র প্রয়োজন পড়বে। তবে কাজ গুলো খুবই ব্যাসিক তাহলে সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সহজেই কাজ শুরু করে আয় করতে পারবেন উক্ত সাইট গুলো থেকে।
আপনার ক্যামেরা আছে? ছবি তোলাটা খুব পছন্দ? বেরিয়ে পড়ুন তাহলে সখের কাজটি করতে। কারন সখের কাজের মাধ্যমেও আয় করার সুযোগ থাকবে এখন থেকে। অনলাইনে এমন অনেক প্লাটফর্ম আছে যেখান থেকে ফোটোগ্রাফিক্যাল ছবি বিক্রি করে করতে পারবেন। সেসব প্লাটফর্ম থেকে যেই আপনার ছবি কিনে থাকবে ওই মূল্যের থেকে শতাংশ হারে আপনাকে দেয়া হবে। প্যাসিভ ইনকামের জন্য এই কাজটি বেশ ভালো আজীবন আয়ের সুযোগ গড়ে উঠবে এই মাধ্যমে।
ঘুড়তে গিয়ে, ফ্রি সময়ে, ইনডোর আউটডোর লোকেশনে এমন ছবি তুলবেন যা কেউ তার ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করতে চায় ব্যাস হয়ে গেলো আপনার কাজ। তবে আপনি যদি জানতে চান কিভাবে ফোটোগ্রাফি করে আয় করা যায় তার বিস্তারিত তাহলে সেটি আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।
গেম খেলে আয় করা যায় ব্যাপারটা হাস্যকর লাগছে না? লাগলে লাগুক তবে যখন বুজতে পারবেন ব্যাপারটা আসলেই সত্যি তখন আর লাগবে নাহ। জী ২০২২ এ এসে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন তাও আবার স্রেফ মোবাইলে গেম খেলার মাধ্যমে। কোনো ধরনের প্রোফেশনাল স্কিলের প্রয়োজন নেই কেবল ব্যাসিক কিছু গেম খেলার মাধ্যমেই আয় করা যাবে।
এমন কেউ কি আছে যে মোটেও গেম না খেলে থাকে? তবে যেখানে গেম খেলার মাধ্যমেও আয়ের ব্যবস্থা আছে সেক্ষেত্রে মন্দ কি? নিজের ফ্রি সময়ে বিনোদোনের ছলেও আয় করা যাবে। যদিও আয়ের পরিমাণ এই ক্ষেত্রে বেশি হবে নাহ তবুও যা হয় তাই। এবার প্রশ্ন হচ্ছে কোথায় ও কি গেম খেলার মাধ্যমে আয় করা যাবে বা কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা জানতে ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।
কোনো কাজ করার জন্য কাউকে বলাকে সাধারণত রেফার বলে থাকি। আপনি কি জানেন উক্ত কাজের মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব। জী হ্যা অনলাইনে আয় করার যত মাধ্যম রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো রেফার করে ইনকাম। কেউ কেউ হয়তো ধারনা করতে পারছে আবার কেউ কেউ বুজতে পারছে না রেফার করে ইনকাম কিভাবে করা যায় বা এটা কিভাবে কাজ করে। তবে কোনো সমস্যা নেই কারন এবারে প্রতিটা বিষয় সম্পর্কে জানাবো যে রেফার কি, কিভাবে কাজ করে, কিভাবে, কাদের ও কোথা থেকে রেফার করবেন। এর জন্য রেফার করে ইনকাম করা বিষয়ক আর্টিকেলটি দেখে নিন।
–
পরিশেষে, এই ছিলো ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেল। চেষ্টা করেছি তথাকথিত কমন কাজ গুলো সম্পর্কে না জানিয়ে ইউনিক কিছু জানাতে যা প্রকৃত অর্থে করা যায়। আরো জানিয়েছি কোন কাজ কেমন হবে এবং কাদের জন্য করা ঠিক হবে। আশা করছি উক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কিছুটা উপকৃত করা গেছে। এতে করে তারা আয় করার মাধ্যম গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে এবং উক্ত কাজ গুলো করার ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারবে।
শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…
লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…
ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…
এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…
রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…
সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…
This website uses cookies.