রোমানিয়া যাওয়ার ইচ্ছা? বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া ভিসা পেতে হলে কি করতে হবে, কত টাকা খরচ, কোথায় আবেদন করবেন, কি কি লাগবে সব বিষয়ে জানুন এই আর্টিকেল থেকে।
প্রতিদিন অনেক বাংলাদেশী নাগরিক রা রোমানিয়া ভিসার মাধ্যমে পাড়ি জমান রোমানিয়া নামক স্বপ্নের দেশে। নানা ধরন এর কাজের উদ্দেশ্য নিয়ে কিংবা ভ্রমণ এর উদ্দেশ্যে, আবার হতে পারে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রতিনিয়তই বাঙালী রা গমন করছেন রোমানিয়া তে।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা অল্প টাকায় বিদেশ গমন করতে চায়, তাদের জন্য কিন্তু রোমানিয়া দেশ ই প্রথম পছন্দ হতে পারে। সেখানে কাজ করার মাধ্যমে তারা নিজ দেশের এবং নিজের পরিবার এর উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
আবার যে সকল শিক্ষার্থী রা মোটামুটি খরচে পড়াশোনা করতে চান এবং স্কলারশিপ এর মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি নিতে চান। তাদের জন্য রোমানিয়া তে থাকা বিশ্ব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো রয়েছে পছন্দের শীর্ষ তালিকায়। আপনি যদি রোমানিয়া যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে সবার প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে রোমানিয়ার ভিসা।
রোমানিয়ার ভিসা প্রসেসিং এর শুরু তেই আপনার ভিসা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া দরকার। তাদের মধ্যে রয়েছেঃ ভিসার ধরন, ভিসা তৈরীর খরচ, ভিসার মেয়াদ, রোমানিয়ার ভিসা আবেদন করার নিয়মাবলি ইত্যাদি।
এছাড়াও আছে আরও কিছু খুটিনাটি বিষয় যা জেনে নেওয়া প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। এ সকল বিষয়গুলো জানা না থাকলে আপনার ভিসার প্রসেসিং এর অভিজ্ঞতা হতে পারে নেতিবাচক।
Related : বাংলাদেশ থেকে ইতালি ভিসা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টি সেই সকল বাঙ্গালী নাগরিক দের জন্যই যারা কোনো ধরনের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া তে বৈধ ভাবে যেতে চাচ্ছেন।
এই আর্টিকেল টি সম্পুর্ন পড়লেই আপনি জানতে এবং বুঝতে পারবেন রোমানিয়ার ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ।
রোমানিয়া তে রয়েছে নামকরা অনেক বড় বড় এডুকেশনাল ইন্সটিটিউট। প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থীরা রোমানিয়া যায় উচ্চ শিক্ষিত হতে, ডিগ্রি নিতে।
সেই সকল শিক্ষার্থী দের সকল এডুকেশনাল সার্টিফিকেট এবং তার পাশাপাশি রোমানিয়া ভিসা অফিসে জমা দান করা স্কলারশিপ সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্র সঠিক আছে।
তাদের ৯০ দিন থেকে ১২০ দিন এর মধ্যেই পছন্দ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় এর আবেদন এবং ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত সকল কাজ কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শিক্ষার্থী গন তাদের সকল প্রকার উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে ডিগ্রি নেওয়া পর্যন্ত রোমানিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে বসবাস করতে পারবেন। তারা চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন পার্ট টাইম চাকুরী ও কন্টিনিউ করতে পারেন।
রোমানিয়া তে যারা প্রবাস জীবন যাপন করেন তারা চাইলে ফ্যামিলী ভিজিট ভিসার মাধ্যমেই খুব সহজে তাদের ফ্যামিলীর সদস্য দের রোমানিয়া তে নিয়ে আসতে পারেন।
এই ভিসার মেয়াদ কাল হয়ে থাকে ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন এর মতো সময়। অর্থাৎ এই সময় কালের জন্য বৈধ ভাবেই প্রবাসী এর পরিবার বর্গের সদস্য রা রোমানিয়াতে অবস্থান করতে পারবেন।
এই রোমানিয়া ফ্যামিলী ভিজিট ভিসার মাধ্যমে প্রবাসী দের সকল পরিবার বর্গ কে কোনো প্রকার বাধা নিষেধ ছড়াই স্বপ্নের দেশে ভ্রমণ করে নিতে পারেন।
যদি যাত্রী দের সকল প্রকার ডকুমেন্টস সমূহ ঠিকঠাক হয়ে থাকে তাহলে এই ভিসা প্রসেসিং হতে ১৫ থেকে ৩০ কার্য দিবস পরিমান সময় লেগে থাকে।
রোমানিয়ার ওয়ার্ক ভিসা টি বাংলাদেশী নাগরিক দের জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই ভিসার মাধ্যমে প্রতি বছরই হাজার হাজার বাংলাদেশী নাগরিক গন রোমানিয়াতে গমন করে থাকেন। রোমানিয়া তে গিয়ে যে কোন ধরনের এর বৈধ কাজে যুক্ত থাকার জন্য অবশ্যই ওয়ার্ক ভিসা প্রয়োজন।
এই ভিসা টি মেয়াদ কাল সাধারণত হয়ে থাকে দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত। তার মানে হলো দুই থেকে তিন বছর পরপর এই ভিসার রিনিউ করার মাধ্যমে বাংলাদেশীরা সেখানে সকল কাজ করতে পারবেন।
যখনই আপনার ভিসার মেয়ার উত্তির্ন হবে তখনই আপনাকে রিনিউ করে নিতে হবে। তা না হলে আপনি রোমানিয়া তে বৈধ ভাবে বসবাস করতে এবং কাজ করতে পারবেন না। সর্বোচ্চ তিন বছর রোমানিয়া ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ থাকে।
এই ভিসার মাধ্যমে যখনই আপনি রোমানিয়া তে যেতে চাইবেন তখন অবশ্যই প্রথমত ভিসা প্রসেসিং অফিস এ সকল প্রকার সঠিক নথি এবং প্রয়োজনীয় সকল ফি জমা দিতে হবে। তাহলেই আপনি সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যেই আপনার এই ওর্য়াক ভিসা প্রসেসিং কমপ্লিট হয়ে যাবে।
প্রত্যেক আলাদা আলাদা দেশের ভিসা করতেই নানা রকম এর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর দরকার পরে। সাধারণ ভাবে দেখতে গেলে আলাদা ধরনের ভিসা গুলো প্রসেসিং করতে আলাদা ডকুমেন্টস লেগে থাকে।
এখন এই আর্টিকেল এর এই পর্যায়ে আমর আলোচনা করবো ভিন্ন ভিন্ন কিছু রোমানিয়া ভিসার জন্য দরকার পরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সম্পর্কে –
১. লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।
২. প্রয়োজন অনুযায়ী পাসপোর্ট সাইজ এর সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
৩. আপনার পছন্দ অনুযায়ী রোমানিয়া- র যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এর অফার লেটার।
৪. আগের শ্রেণি গুলোর স্কুল এবং কলেজ এর সকল মেইন সার্টিফিকেট, তার সাথে আরও লাগবে সেই সকল পরীক্ষার মার্কশিট।
৫. IELTS স্কোর এর সার্টিফিকেট।
৬. রোমানিয়া তে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় এর এপ্লিকেশন ফর্ম।
৭. নিজস্ব কিংবা পারিবারিক অভিভাবক এর ব্যাংক সলভেন্সির কাগজ পত্র।
৮. রোমানিয়া স্টুডেন্ট ভিসার এপ্লিকেশন ফর্ম।
৯. শিক্ষার্থীদের সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গুলো অবশ্যই ইন্টান্যাশনাল অরগানাইজেশান ফর মাইগ্রেশান থেকে সঠিক ভাবে ভেরিফিকাশন করে নিতে হবে।
১০. স্টুডেন্ট এর লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস।
১১. রিকমেন্ডেশন লেটার অথবা মোটিভেশনাল লেটার।
১২. স্টুডেন্ট এর সিভি এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
১৩. কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
১৪. আগের স্কুল কলেজ এর সকল সার্টিফিকেট এর মেইন কপি এবং ফটোকপি। অবশ্যই সকল সার্টিফিকেট গুলো শিক্ষাবোর্ড এবং রোমানিয়া অ্যাম্বাসি কর্তৃক সত্যায়িত করে নিতে হবে।
১. লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।
২. প্রয়োজন অনুযায়ী পাসপোর্ট সাইজ এর সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
৩. বিয়ের আসল কাবিন নামার কপি।
৪. বাংলাদেশী নাগরিকত্ব সনদপত্র।
৫. পরিবার এর যেই সদস্য স্পনসর করছে তার আকামার কপি।
৬. জন্ম নিবন্ধন পত্র।
৭. কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
৮. বিয়ের ছবি এবং সাক্ষি দের প্রমান স্বরূপ সিগনেচার।
১. লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।
২. প্রয়োজন অনুযায়ী পাসপোর্ট সাইজ এর সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
৩. জন্ম নিবন্ধন পত্র।
৪. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
৫. বাংলাদেশী নাগরিকত্ব সনদপত্র।
৬. স্পনসর এর আকামার কপি।
৭. কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
রোমানিয়ার প্রত্যেকটি ভিসার ক্ষেত্রে রয়েছে আলাদা আলাদা পরিমান চার্জ। তার মানে ভিসা তৈরী করতে খরচ হয়ে থাকে ভিন্ন পরিমাণ এর টাকার এমাউন্ট। তাই এই সকল ব্যাপার গুলো আগে থেকেই জেনে নেওয়া ভালো। তা না হলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্টুডেন্ট রা তাদের স্কলারশিপ এর মাধ্যমে ফ্রি তেই রোমানিয়া অবস্থান করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় এর ধরন অনুযায়ী ৭০ ইউরো থেকে ১০০ ইউরো খরচ হয়ে থাকে। বলা যায়, স্টুডেন্ট ভিসায় রোমানিয়া যেতে সেরকম বিরাট কোন খরচ হয় না বললেই চলে।
রোমানিয়া তে ফ্যামিলি দের নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে ভিজিট ভিসার জন্য খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার ৫ শ রুপি। আলাদা আলাদা পরিবার এর সকল সদস্য এর জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হবে এক্ষেত্রে।
ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে প্রতিদিন ই অনেক বাংলাদেশী নাগরিকরা রোমানিয়া যাচ্ছেন। কাজ এবং আপনি কোন কম্পানির মাধ্যমে যাচ্ছেন সেই অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিমান এর টাকা দেওয়া হতে পারে। তবে সাধারণ ক্ষেত্রে এই প্রাইজ টি ৬ লক্ষ থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ হয়ে থাকে।
ভিসা প্রসেসিং এর বেশ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়ম গুলো একই হয়ে থাকে তবে বেশ কিছু ভিন্ন ব্যাপার ও পরিলক্ষিত হয়। যেহেতু আমরা আজকের আর্টিকেল টিতে বেশ কিছু আলাদা আলাদা ভিসা ধরন নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি।
তাই এদের নিয়ম গুলো তেও কিছুটা ভিন্নতা দেখা দিতেই পারে, যা খুবই স্বাভাবিক। আপনি কিন্তু এখন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিসার আবেদন টি অনালাইনেই খুব সহজেই সম্পাদন করে ফেলতে পারেন।
আপনার ভিসা আবেদন পত্র টির সাথে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হতে পারে। তাই প্রথমেই অবশ্যই ভালোভাবে সকল ডকুমেন্ট গুলো বাছাই করে নিতে হবে।
তারপর আপনার আবেদন টি কত সময় এর মধ্যে নিতে পারবে এবং ভিসার এপ্লিকেশন, অন্যান্য খরচ বাবদ আপনাকে কি পরিমান টাকা জমা দিতে হতে পারে সেই সকল বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক ভাবে জেনে নিতে হবে।
কোন দেশের ভিসার জন্য আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে, ভিসা বিভাগের জন্য যে সকল নিয়মাবলী এবং শর্ত প্রযোজ্য তা মেনে চলতে হবে।
সকল প্রকার তথ্য সঠিক দিতে হবে যেমনঃ আপনার নাগরিকত্ব, পরিদর্শন অভিবাসন, শিক্ষা অনুমতি, কাজের অনুমতি, ইত্যাদি বিষয়গুলো।
সকল বিষয়ের ব্যাপারে প্রমাণ স্বরূপ সম্মতি ফর্ম জমা দিতে হবে এবং সেখানে অবশ্যই আপনার স্বাক্ষর থাকতে হবে, ভিসার আবেদনের সাথে এই ফর্ম জমা দিবেন।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ার পর থেকে একটি নতুন নিয়ম শুরু হয়েছে যেখানে আপনার করোনার ভ্যাকসিন নেয়া হয়েছে কিনা সেই সংক্রান্ত তথ্যাবলী জমা দিতে হবে।
যেই ফর্ম এর মাধ্যমে আপনার রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং শুরু করবেন সেটা সঠিক ভাবে সিলেক্ট করে ডাউনলোড করে নিন। এরপর ডাউনলোড করা মেইন ফর্মটি পূরণ করে তার কপি করে রাখুন নিজের কাছে। এখন সেই ভিসা আবেদন ফর্মটি নিয়ে ভিসা অফিসে দিয়ে জমা দিন।
এখন আপনার জন্য একটি বৈদ্যুতিন আবেদন পত্র রাখা হবে সেটা সঠিক ভাবে পূরণ করে নিন। সম্পূর্ন ফর্মটি একটি বারকোড এর সাথে যুক্ত করা শিট এর সাথে একটি মানউন্নত, সাদা এবং চকচকে ধরনের কাগজ এর সাথে কপি করে নিয়ে নিবেন।
আপনি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার ২ ডি এর বারকোড টি একটি সাদা, উন্নত মানের কাগজে কপি করা হয়, এর কারন হলো হাতে লিখিত কিংবা অনুন্নত ফর্ম রোমানিয়া ভিসা অফিস থেকে একদমই গ্রহণ করবে না।
আপনার পার্সোনাল ভিসা সম্পর্কিত সকল প্রকার গোপন তথ্য মেনে চলতে হবে এবং এর সাথেই একটি সম্মতি মূলক ফর্ম ফিল আপ করবেন।
ভিসা আবেদন ফর্ম টির সাথে সকল প্রকার গোপনীয়তা বজায় রাখবেন পত্র টি যুক্ত করার সময়। আপনাকে অবশ্যই ভিসা এর ফর্ম সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে কারন এটি ব্যতীত আপনার ভিসা আবেদন টি গ্রহন যোগ্য হবে না এবং এটি ফিরিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে।
যখনই আপনার ভিসা আবেদন এর প্রসেস সম্পন্ন হয়ে যাবে ঠিক তখনই ভিসা অফিসের জন্য আপনার সাক্ষাৎকার টি সঠিক ভাবে, সঠিক সময়ে লিপিবদ্ধ করে ফেলতে হবে।
সাক্ষাৎকার টি কনফার্ম করার জন্য আবশ্যই আপনাকে সকল প্রকার বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে। তার মানে হলো আপনাকে সঠিক উপায়ে আপনার আঙ্গুল এর ছাপ দিয়ে দিতে হবে।
তার সাথে আপনার রঙিন ছবি দিতে হবে। আপনি চাইলে ছবিটি যে কোনো একটি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকেই তুলে নিতে পারেন।
সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেবার পর দেখবেন আপনার রোমানিয়া ভিসার জন্য করা অ্যাপয়েন্টমেন্ট টি বুক হয়ে যাবে এক নিমিষেই।
তারপর আপনি একটি কনফার্মেশন মেইল ও পাবেন। আরেকটি বিষয় তা হলো, আপনি যখন আপনার পরিবারের অন্য সদস্য বৃন্দ দের জন্য ভিসা এপ্লিকেশন করবেন, তাহলে তাদের সকলের জন্যই আলাদা আলাদা অ্যাপয়েনমেন্টের দরকার পরবে।
রোমানিয়া ভিসা করতে আপনার যেই পরিমাণ ফি দিতে হবে সেটা সঠিক ভাবে সঠিক কাউন্টার এ প্রদান করুন। আবেদন শেষ হলেই সাথে সাথে তা দিয়ে দিতে হবে এবং অবিশ্যই মানি রিসিট নিবেন।
আপনার রোমানিয়ার জন্য করা ভিসার আবেদন কমপ্লিট হয়ে যাবার পর ভিসা অফিস সে সকল মেইন কপি এবং ফটোকপি জমা দিতে হবে।
সাক্ষাৎকারে যোগদান করার আগে যদি আপনি মনে করেন আপনার অনলাইন এ সম্পন্ন হয়ে গেলে সেই কপি ভিসা অফিসে জমা দিয়ে দিন।
আর যদি আপনি মনে করেন, অনলাইন আবেদন সম্পন্ন হয়নি, তাহলে সরাসরি ভিসা অফিসে একটি ফর্ম এর মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সমূহ জমা দিয়ে দিন।
যদি আপনি বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে আপনার তথ্য জমা দেন অথবা অন্য যেকোনো সাধারণ পদ্ধতির মাধ্যমে, তাহলে সাথে সাথেই আপনাকে একটি কনফার্ম রসিদ দেওয়া হবে সেটা অবশ্যই সংগ্রহ করবেন।
তার কারন, সেই রসিদ এর মাধ্যমেই আপনার রোমানিয়া ভিসার জন্য ট্র্যাকিং নাম্বার দেওয়া হবে। যা দেখে পরবর্তী সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি বুঝবেন যে, আপনার রোমানিয়া ভিসা টির কি পরিমানে অগ্রগতি হয়েছে।
আপনাকে যেই কনফার্মেশন মেইল পাঠানো হবে সেই ই-মেইলের মাধ্যমে আপনি ট্র্যাক করতে পারবেন আপনার ভিসা আবেদনের কাজ কতটুকু সম্পাদক হচ্ছে।
ইমেইলে একটি লিঙ্ক দেওয়া থাকবে যে লিংকে ঢুকলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ভিসা আবেদনের কাজ কতটুকু সম্পন্ন হচ্ছে।
নাকি স্থগিত আছে, নাকি আপনাকে আবার কোন ধরনের কাজের ভিসা অফিসে যেতে হবে। আপনি চাইলে একটি সঠিক মোবাইল নাম্বার ও তাদের দিতে পারেন যার মাধ্যমে ভিসার সকল আপডেট সংক্রান্ত তথ্য গুলো মেসেজ হিসেবে আপনার মোবাইল এ আসতে পারে। এভাবেও আপনি চাইলে আপনার রোমানিয়া ভিসার অ্যাপ্লিকেশনটি ট্র্যাক করে নিতে পারেন।
এখন আপনার আসল কাজ হবে ভিসা প্রসেসিং অফিস থেকে আপনার বহুল কাঙ্খিত রোমানিয়ার পাসপোর্ট টি গ্রহণ করে নেওয়া।
তার পাশাপাশি আপনার প্রয়োজনীয় সকল নথি চেক করে নিবেন, যাতে কোনো ভুল হলে সংশোধন করে নিতে পারেন তা না হয়ে আপনার সমস্যা হয়ে পারে৷
এছাড়া ও আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট টি অতিরিক্ত চার্জের দিয়ে কুরিয়ার মাধ্যমে নিয়ে নিতে পারেন। আপনার জন্য প্রস্তাবিত রোমানিয়াতে প্রবেশ এর সঠিক তারিখ, প্রবেশ পথের বিশেষ সংখ্যা, প্রয়োজনীয় সকল তথ্য ভ্রমণ এর জন্য ১০০% বৈধ কিনা এবং এই ভিসার সকল বিবরণ বিবেচনা করে পরীক্ষা করে নিতে হবে, এটি আপনার একান্ত দায়িত্ব।
Address: Cosmos Centre, 69/1, New Circular Road, Malibagh, Dhaka – 1217
Mobile / Phone: +880 2 8312024; +880 2 9356522, +880 2 9351137
Fax number :
+880 2 8314602 / 9345 540
E-mail address :
cosmos@citechco.net;
ekhan@citechco.net,
ekhan@singnet.com.sg.
Website address : http://www.cosmosgroup.net/
এপয়েনমেন্ট এর মাধ্যমে যে কোনো সময় অফিস টাইমে ভিসার এপ্লিকেশন এর কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
আমি কিভাবে বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারি?
‘স্টিকার ভিসা’ বাংলাদেশ অফিস থেকে রোমানিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করুন। প্রথমত, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আপনার কাছে রোমানিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রনালয়ে জেনারেল ইমিগ্রেশন ইন্সপেক্টরেট দ্বারা জারি করা একটি ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে, কার্যকর আইন অনুসারে।
শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…
লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…
ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…
এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…
রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…
সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…
This website uses cookies.