ব্যাংক

Binance থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম । Binance to Bkash

Binance থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার 

২০২৩ এ এসে অনলাইনে ট্রেডিংয়ের একটা Revelution দেখা গিয়েছে। বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে ট্রেডিং করে আয় করছে প্রচুর অর্থ। তেমনই একটা প্লাটফর্ম Binance। Binance থেকে আয়কৃত অর্থ যেমন USDT, BTC সহ অন্যান্য ডিজিটাল কারেন্সিকে বাংলাদেশি টাকাতে রুপান্তর এবং বিকাশের মাধ্যমে সে অর্থকে পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চায় অনেকে। তাদের সমস্যাকে বুঝে তাদের জন্যই Binance থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম উপস্থাপন করছি এবারের আর্টিকেলে। 

এখানে থাকছে Binance সম্পর্কে ব্যাসিক তথ্য এবং টাকাতে ট্রান্সফার করার জন্য যে বিষয় গুলো জানা দরকার সে সম্পর্কে বিস্তর ধারণা। আর সবশেষে স্টেপ বাই স্টেপ দেখানো হয়েছে Binance থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম। 

Binance কি?

Binance হল বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ গুলির মধ্যে একটি। এটি 2017 সালে Changpeng Zhao (CZ) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে একটি বিশিষ্ট খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে। Binance ব্যবহারকারীদের বিটকয়েন, Ethereum, Ripple এবং আরও অনেকের মতো জনপ্রিয় সহ বিস্তৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্য করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।

বিনিময় হিসাবে, Binance ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়, বিক্রয় এবং লেনদেনের সুবিধা দেয়। ব্যবহারকারীরা তাদের Binance অ্যাকাউন্টে তাদের তহবিল জমা করতে পারে এবং তারপর একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্য করতে সেই তহবিলগুলি ব্যবহার করতে পারে। Binance ইউজার ফ্রেইন্ডলি ইন্টারফেস, উন্নত ট্রেডিং বৈশিষ্ট্য এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির বিস্তৃত নির্বাচনের সুবিধা প্রদান করে।

এর স্পট ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও, Binance অন্যান্য বিভিন্ন পরিষেবা এবং বৈশিষ্ট্যও অফার করে। এর মধ্যে রয়েছে ফিউচার ট্রেডিং, যেখানে ব্যবহারকারীরা লিভারেজ সহ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুক্তি ট্রেড করতে পারে, সেইসাথে অপশন ট্রেডিং এবং মার্জিন ট্রেডিং। Binance এছাড়াও Binance লঞ্চপ্যাড পরিচালনা করে, টোকেন বিক্রয় এবং প্রাথমিক মুদ্রা অফারিং (ICOs) হোস্ট করার একটি প্ল্যাটফর্ম এবং Binance Staking, যা ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট ক্রিপ্টোকারেন্সি আটকে পুরষ্কার অর্জন করতে দেয়।

Binance এর নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে যার নাম Binance Coin (BNB)। BNB Binance প্ল্যাটফর্মে ট্রেডিং ফি প্রদান করতে, টোকেন বিক্রয়ে অংশগ্রহণ করতে এবং Binance ইকোসিস্টেমের মধ্যে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি অ্যাক্সেস করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার অত্যন্ত অস্থির এবং কিছু ঝুঁকি জড়িত। কোনো ট্রেডিং বা বিনিয়োগ কার্যক্রমে জড়িত হওয়ার আগে, এটি পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা পরিচালনা এবং পেশাদার পরামর্শ চাইতে সুপারিশ করা হয়।

P2P লেনদেন সম্পর্কে

বাইনান্স থেকে বিকাশে টাকা আনার জন্য আপনাকে অবশ্যই P2P সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। কেননা এটাকে কেন্দ্র করেই অর্থ ট্রান্সফারের কাজ করা হবে। তাহলে আসুন ব্যাসিক কিছু তথ্য জানা যাক কি এই P2P লেনদেন প্রসেস। 

Binance-এ পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) লেনদেনগুলি Binance প্ল্যাটফর্মের দ্বারা প্রদত্ত একটি পরিষেবাকে বোঝায় যা ব্যবহারকারীদের সরাসরি একে অপরের সাথে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে এবং বিক্রি করতে দেয়, কোনো মধ্যস্থতাকারীর সম্পৃক্ততা ছাড়াই। P2P ট্রেডিং ব্যবহারকারীদের তাদের স্থানীয় ফিয়াট মুদ্রা ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেড করতে সক্ষম করে।

P2P ট্রেডিং বৈশিষ্ট্য একটি মার্কেটপ্লেস হিসেবে কাজ করে যেখানে ব্যক্তিরা সংযোগ করতে এবং ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট মূল্য এবং শর্তে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা বা বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়ে বিজ্ঞাপন পোস্ট করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। অন্যান্য ব্যবহারকারীরা তারপরে এই বিজ্ঞাপনগুলি ব্রাউজ করতে পারে এবং বিক্রেতা/ক্রেতার সাথে একটি বাণিজ্য শুরু করতে বেছে নিতে পারে যা তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।

Binance-এ P2P ট্রেডিং ফাংশন সাধারণত ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার, থার্ড-পার্টি পেমেন্ট প্রোভাইডার, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নগদ পেমেন্ট সহ বিভিন্ন পেমেন্ট পদ্ধতি সমর্থন করে। এটি ব্যবহারকারীদের একে অপরের সাথে সরাসরি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেড করতে দেয়, দ্রুত লেনদেনের সুবিধা দেয় এবং প্রচলিত এক্সচেঞ্জের তুলনায় সম্ভাব্য কম ফি।

Binance P2P লেনদেনে একটি এসক্রো পরিষেবা হিসাবে কাজ করে, যতক্ষণ না ক্রেতা পেমেন্ট নিশ্চিত না করে বিক্রেতার ক্রিপ্টোকারেন্সি ধরে রাখে। এই সিস্টেমটি জালিয়াতির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং একটি নিরাপদ ট্রেডিং পরিবেশ নিশ্চিত করে।

P2P লেনদেনগুলি বিশেষ করে এমন অঞ্চলে কার্যকর যেখানে ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সীমিত বা সীমাবদ্ধ হতে পারে। তারা ক্রিপ্টো সম্প্রদায়ের মধ্যে পিয়ার-টু-পিয়ার ইন্টারঅ্যাকশন প্রচার করে স্থানীয় ফিয়াট মুদ্রার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময় করার একটি বিকেন্দ্রীকৃত উপায় ব্যবহারকারীদের প্রদান করে।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, P2P ট্রেডিং এর নিজস্ব ঝুঁকি বহন করে, যার মধ্যে স্ক্যাম বা প্রতারণামূলক কার্যকলাপের সম্ভাবনা রয়েছে। Binance বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে P2P লেনদেনে জড়িত থাকার সময় ব্যবহারকারীদের সতর্কতা অবলম্বন করা, পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা পরিচালনা করা এবং সর্বোত্তম অনুশীলন অনুসরণ করা উচিত।

USDT থেকে BDT (বাংলাদেশি টাকা) তে কনভার্ট করার নিয়ম (সংক্ষেপে)

Binance-এর বিকাশের সাথে সরাসরি একীকরণ বা তাদের প্ল্যাটফর্মে USDT (Tether) থেকে BDT (বাংলাদেশি টাকা) সরাসরি স্থানান্তরের জন্য অনুমতি নেই। তারপরেও আপনি এখনও কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে USDT থেকে BDT রূপান্তর করতে পারবেন:

১) Binance থেকে USDT উত্তোলন করুন: আপনার Binance অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন এবং ওয়ালেট বিভাগে নেভিগেট করুন। আপনার USDT ব্যালেন্স সনাক্ত করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট থেকে টাকা তোলা শুরু করুন যা USDT সমর্থন করে।

২) পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম খুঁজুন: একটি নির্ভরযোগ্য পিয়ার-টু-পিয়ার ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম খুঁজুন যেটি বাংলাদেশে কাজ করে এবং USDT-to-BDT ট্রেড সমর্থন করে। বাংলাদেশে সচরাচর ব্যবহৃত একটি প্ল্যাটফর্ম হল লোকাল বিটকয়েন। যাইহোক, পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা পরিচালনা করা এবং একটি ভাল খ্যাতি এবং যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ একটি প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া অপরিহার্য।

৩) অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং যাচাই করুন: নির্বাচিত P2P ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে একটি অ্যাকাউন্টের জন্য সাইন আপ করুন এবং যেকোনো প্রয়োজনীয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করুন, যেমন শনাক্তকরণ নথি জমা দেওয়া।

৪) ট্রেড বিজ্ঞাপন পোস্ট করুন: একবার আপনার অ্যাকাউন্ট সেট আপ হয়ে গেলে, আপনি একটি ট্রেড বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন যা আপনার ইউএসডিটি বিক্রি করার এবং বিকাশের মাধ্যমে বিডিটি পাওয়ার ইচ্ছা নির্দেশ করে। বিনিময় হার, অর্থপ্রদানের পদ্ধতি এবং আপনার প্রয়োজনীয় যেকোন অতিরিক্ত শর্তাবলী উল্লেখ করুন।

৫) সম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করুন: আগ্রহী ক্রেতারা P2P প্ল্যাটফর্মের মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। ট্রেডের বিশদ আলোচনা করুন, যেমন আপনি যে পরিমাণ USDT বিক্রি করতে চান, সম্মত বিনিময় হার এবং পেমেন্ট পাওয়ার জন্য বিকাশ অ্যাকাউন্টের বিবরণ।

৬) ট্রেডিং সম্পূর্ণ করুন: একবার আপনি ট্রেডিং শর্তাবলীতে সম্মত হলে, লেনদেনের সাথে এগিয়ে যান। আপনার ব্যক্তিগত ওয়ালেট থেকে ক্রেতার নির্দিষ্ট ওয়ালেট ঠিকানায় USDT স্থানান্তর করুন। USDT-এর সফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পর, ক্রেতা আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে সম্মতিকৃত BDT পাঠাবে।

৭) বিকাশে টাকা পেয়েছেন কি না চেক করুন: একবার আপনি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে বিডিটি পেয়ে গেলে, লেনদেনটি যাচাই করুন এবং নিশ্চিত করুন যে তহবিলগুলি নিরাপদে স্থানান্তরিত হয়েছে। পরবর্তী কোনো ক্রিয়াকলাপের সাথে এগিয়ে যাওয়ার আগে প্রাপ্ত পরিমাণের যথার্থতা দুবার পরীক্ষা করুন।

Binance থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম

এই পর্যায়ে জানাবো বিস্তারিত এখন ধাপে ধাপে উপস্থাপন করবো সেই পদ্ধতি যা অনুসরণের মাধ্যমে খুব সহজ ও নিরাপদ ভাবে বাইনান্স থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক। 

Binance এ আপনার যে ডলার গুলো রয়েছে সেগুলো যদি Withdraw করতে চান তবে সেটা করা যাবে বাংলাদেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল প্লাটফর্ম বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে। উক্ত কাজের জন্য অনুসরণ করতে হবে কিছু স্টেপ যা এবার জানানো হবে। 

১ম স্টেপ – একাউন্টে লগিন করুন

প্রথমেই Binance অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটে লগিন করে নিতে হবে। অবশ্যই আপনি যেটায় কম্ফোর্ট ফিল করেন সেই মাধ্যম ব্যবহার করেই বাইনান্স একাউন্টে ঢুকবেন। তবে এবারের টিউটোরিয়ালে আমরা অ্যাপ ব্যবহার করছি। 

দ্বিতীয় স্টেপ – Spot থেকে P2P তে ডলার ট্রান্সফার

একাউন্টে লগ ইন করা হয়ে গেলে ড্যাশবোর্ড থেকে ওয়ালেট নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং দেখতে হবে আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা ডলার Spot আছে নাকি P2P আছে।যদি আপনার ডলার স্পট এ থেকে থাকে তাহলে সেটিকে p2p তে নিতে হবে। সাধারণভাবে ডলারগুলো Spot এ থেকে থাকে যার কারণে প্রত্যেকের P2P তে ট্রান্সফার করতে হয়। Spot থেকে P2P তে ডলার ট্রান্সফার নিয়ম হলো:

প্রথমেই Spot এ ক্লিক করে দেখতে হবে আপনার USDT তে কত ব্যালেন্স রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে এবার উপরে থাকা ৩ টি অপশন থেকে Transfer এ ক্লিক করতে হবে। বুজার জন্য নিচের ছবিটি লক্ষ করুন। 

এই পর্যায়ে যখন আপনাকে ট্রান্সফার পেইজে নিয়ে আসা হবে সেখান থেকে কিছু অপশন সিলেক্ট করতে হবে। নিজের ছবিটি লক্ষ্য করুন সেখানে প্রথমেই দেয়া আছে from spot to p2p wallet. রেড মার্ক করা স্থানটিতে ক্লিক করে p2p ওয়ালেট অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। দ্বিতীয় রেড মার্ক সিলেক্ট করার অপশনটিতে দেখা যাচ্ছে USDT সিলেট করা রয়েছে, যদি না করা থাকে তাহলে করে নিবেন। এরপরের রেড মার্কে অ্যামাউন্ট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে. আপনি যত ডলার উইথড্র করতে চান তার পরিমাণ এখানে দিয়ে দিবেন। প্রতিটি কাজ ঠিকভাবে হয়ে গেলে কনফার্ম ট্রান্সফার অপশন এ ক্লিক করে Spot থেকে p2p তে ডলার ট্রান্সফার করে নিবেন। 

তৃতীয় স্টেপ – P2P থেকে বিকাশে / নগদ / রকেটে টাকা ট্রান্সফার

এ পর্যায়ে দেখাবো পিটুপিতে ট্রান্সফার করা ডলারগুলো কিভাবে বিকাশ নগদ কিংবা রকেটের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বলে রাখি আপনি যদি টাকা দিয়ে ডলার কিনতে চান সে ক্ষেত্রে P2P থেকে Buy অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। 

আর যদি ডলার থেকে টাকাতে ট্রান্সফার করতে চান সেক্ষেত্রে Sell অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে বুজার সুবিধার্থে নিজের ছবিটি লক্ষ্য করুন। যেহেতু আমরা Binance থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম দেখছি তাই Sell অপশনটিতে ক্লিক করলাম। 

সেল অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনাকে নতুন একটি পেইজে নিয়ে আসা হবে। এবার নিচে দেয়া ছবিটিতে খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করুন বেশ কিছু স্থানে রেড মার্ক করে চিহ্নিত করা আছে। প্রথমটিতেই  সিলেক্ট করা আছে P2P কেননা আপনি এখান থেকেই ডলার বিক্রি করছেন। তার পরেই রয়েছে BDT যা হলো বাংলাদেশী কারেন্সি। 

এরপর নিচে যে লিস্ট গুলো দেখছেন সেগুলো হল একটি এজেন্সি যারা ডলার ক্রয় এবং বিক্রি করে। প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে একটি রেট দিয়ে রাখে ডলারের। আপনার যে রেটটি পছন্দ হয় আপনি সেই রেট অনুযায়ী ডলার বিক্রি করতে পারবেন। এবার স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, “আমি কোন এজেন্সি থেকে ডলার ক্রয় বা বিক্রি করব এবং কোনটা কতটা নির্ভরযোগ্য তা কিভাবে বুঝব?”

সেজন্য দেখতে হবে কার লেনদেন কতগুলো হয়েছে এবং সেই লেনদেনগুলোর একুরিসি কত পারসেন্ট। ছবিটি লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন এখানে ট্রেডিং লাভার নামক এজেন্সিতে ডলার রেট দেয়া রয়েছে ৮৯.৫০ এবং এই অবধি মোট ৬২৭ টি লেনদেন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের লেনদেন যথেষ্ট ভালো ৯৫.৪৩% তাহলে বোঝা যাচ্ছে এটা মোটামুটি নির্ভরযোগ্য একটি এজেন্সি যার সাথে লেনদেন করা যায়।  আপনি যখন বিক্রি করতে আসবেন তখন এই এজেন্সির কাছেই বিক্রি করবেন এমনটা কিন্তু নয়। আপনি ভালোভাবে খুঁজবেন সেখানে থাকা প্রত্যেকটি এজেন্সির রেট দেখবেন, কে কতবার লেনদেন করেছে তা দেখবেন, সকল কিছু দেখার পর যাকে আপনার পছন্দ হয়, তার সাথেই লেনদেন করবেন। 

চতুর্থ স্টেট –  এজেন্সির সাথে লেনদেন করুন

কার সাথে লেনদেন করবেন সেটা সিলেক্ট করা হয়ে গেলে নামের পাশে থাকা রেড বাটনে সেল অপশনটিতে ক্লিক করুন। 

এই পর্যায়ে একটি ওভারভিউ দেখানো হবে যেখানে ডলার রেট কত তা দেখানোর পাশাপাশি আপনি কত ডলার বিক্রি করতে চাচ্ছেন এবং কোন মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতে চাচ্ছেন এই দুইটি বিষয়ে জানিয়ে দিতে হবে।  বলে রাখা ভালো আপনি স্বাভাবিকভাবে বিকাশ নগদ রকেট যেকোনো মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে পেমেন্ট অপশন থেকে সিলেক্ট করে নিতে হবে নাম্বারটি। সব তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে রেড বাটনে থাকা Sell USDT অপশনটিতে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হোন। 

এবার একটু লক্ষ্য করুন একদম উপরে কোনায় ডান পাশে চ্যাট নামক অপশন রয়েছে মূলত সেখানেই এজেন্সির সাথে আপনি সরাসরি কথা বলতে পারবেন। ফেল অপশনটিতে ক্লিক করার পর যখন এই পেজটিতে আপনাকে নিয়ে আসা হবে তখন পেন্ডিং পেমেন্ট এ জন্য ছয় মিনিট সময় নির্ধারণ করা থাকবে এই ছয় মিনিটের মধ্যে এজেন্সির লোক আপনার সাথে যোগাযোগ করবে খেয়াল রাখবেন চ্যাট অপশনে মেসেজ আসছে কিনা। 

সেখানে আপনি সরাসরি তাদের সাথে কথা বলে লেনদেনটি সম্পন্ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে বিকাশ নগদ রকেট যেকোনো মাধ্যমের নাম্বার চাইবে আপনাকে নাম্বারটি দিতে হবে। আপনাকে পূর্বে পেমেন্ট করা হবে। আপনি যখনই টাকা বুঝে পাবেন তখন চ্যাট থেকে বেরিয়ে এসে, নিচের দেয়া ছবিতে মার্ক করা স্থানে ক্লিক করতে হবে, যেখানে রয়েছে “Payment Received” আরেকটু লক্ষ্য করুন পেমেন্ট রিসিভের পাশে আরেকটি অপশন রয়েছে যা হল “Appeal” 

এজেন্সি লোক যদি আপনাকে কোন ভাবে টাকা কম দেয় কিংবা মন্দ ব্যবহার করে অথবা লেনদেন সংক্রান্ত আনএক্সপেক্টেড কিছু করে তবে আপনি আপিল করতে পারেন এক্ষেত্রে সরাসরি Binance এর হেল্পিং টিম আপনার সমস্যাটির সমাধান করে দিবে। 

পঞ্চম স্টেপ – নাম্বার ভেরিফিকেশন

Payment Receive অপশনে ক্লিক করার পর আপনাকে ভেরিফাই করার জন্য নাম্বার ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হবে এক্ষেত্রে আপনি যে নাম্বারটি ব্যবহার করে বাইনান্স একাউন্ট খুলেছিলেন সেই নাম্বার একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে যা এখানে সাবমিট করতে হবে। 

এবং এরই মাধ্যমে সফল ভাবে Binance থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করা হয়ে যাবে। এই পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করা যায় না, গেলেও হয়তো সেটা সেফ না। আপনি খুব সহজে ও নিরাপদে এই নিয়ম অনুসরণ করে Binance থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। 

পরিশেষে কিছু কথা

Binance এর মাধ্যমে ট্রেডিং করা এখন খুবই ট্রেন্ডিং হয়ে গেছে। সে সকল মানুষ যারা ট্রেডিং করে থাকে এবং এই সেক্টরে আয় করতে চায়, মূলত Binance থেকে আয় করে থাকে তাদের জন্য এবারের আর্টিকেলটি বেশ উপকারের হয়েছে বলে মনে করি। কেননা ট্রেডিং এর পর সে অর্থকে টাকাতে ট্রান্সফার করার এর থেকে সহজ পদ্ধতি আর নেই। 

বলে রাখা ভালো যে, কেবল ডলারই নয়। অন্য যেকোনো কারেন্সি থেকে বাংলাদেশী টাকাতে কনভার্ট করে ট্রান্সফার করা যাবে একই নিয়মে। শুধু যেখানে USDT ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে আপনার কাঙ্ক্ষিত ট্রেডিং কারেন্সি সিলেক্ট করলেই হবে। বাকি সব নিয়ম একই থাকবে। আশা করি Binance থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম বুজাতে সক্ষম হয়েছি, এবং এমনই গুরুত্বপূর্ণ টিউটরিয়ালের জন্য অনুসরণ করুন বাংলা আলো ওয়েবসাইটের টেক দুনিয়া নামক ক্যাটাগরিটি। ধন্যবাদ। 

Bangla Alo

Recent Posts

অর্কিড ফুল চাষ পদ্ধতি, রোগবালাই দমন, ফলন ও ফুল সংগ্রহ

অর্কিড, খুব কঠিন একটা নামের সুন্দর একটা ফুল। আজকে আপনাদের সাথে চমৎকার একটি ফুল নিয়ে…

4 days ago

৫টি জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গানের লিরিক্স

প্রতিটা দেশেরইই একক কিছু দেশাত্মবোধক গান থাকে তেমনি বাংলাদেশেও রয়েছে এমন অনেকগুলো দেশাত্মবোধক গান।  আমরা…

1 week ago

ইসলামিক পদ্ধতিতে ওজন কমানো এবং সুস্থ থাকার উপায় জানুন

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমাদের আজকের জানার বিষয় হলো -…

1 week ago

বেগুন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন, নিজে চাষ শুরু করুন

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে বেগুন চাষ…

1 week ago

ওমরা ভিসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশা করি মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ও অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো…

1 week ago

কনফেকশনারি ব্যবসার আইডিয়া || শুরু থেকে শেষ অব্দি

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর ইচ্ছায় সবাই ভালো আছেন। আমাদের দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ…

1 week ago