–
কৃষি ভিত্তিক পণ্যের ব্যবসা পরিচালন করার ইচ্ছা হচ্ছে? কৃষি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান? তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই কারন এখানে আলোচনা করা হবে কৃষি সম্পর্কে। ধারনা দেয়া হবে কৃষি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।
গ্রাম অঞ্চলে থেকে ব্যবসা করতে চাইলে আইডিয়ার অভাব হয় না। কারন এখানে যেকোনো জিনিসের কাচামাল খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায় এবং কম্পিটেটর তুলনামূলক ভাবে খুব কম। আজকে এমনই একটি Evergreen নিশ ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো পুরো আর্টিকেল জুড়ে।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, এদেশের অর্থনীতি এখনও কৃষির উপর অনেকাংশই নির্ভরশীল। তাই কৃষিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের ব্যবসা করাটা বর্তমান সময়ে বেশ লাভজনক হবে। তাই উক্ত আর্টিকেলে জানাবো কৃষি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে এবং ধারনা দিবো পুরো বিষয়বস্তুর উপর।
যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজন হয় মূলধনের, উক্ত সেক্টরে ব্যবসা করার জন্য ধারনা ও বাজার বিশ্লেষনের। স্থানীয় বা ব্যবসায়ীক এড়িয়ার উপর পরিসংখ্যানের প্রয়োগের মাধ্যমে উক্ত পণ্যের চাহিদা ও ভ্যালু নির্ধারনের।
এসব ঠিক ভাবে করা হয়ে গেলে ব্যবসা পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্জ সম্প্রসারনের। এতে একেক ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে সাইট ম্যাপ একেক ধরনের হয়ে থাকে। তাই নিম্মের দেয়া ব্যবসা আইডিয়ার পাশাপাশি উক্ত ব্যবসায়ের ধারনা দেয়ার চেষ্ঠা করবো যাতে পুরো বিষয় গুলো আপনার কাছে বোধ্যগম্য হয় পাশাপাশি প্রাথমিক ভাবে প্রস্তুত হয়ে যেতে পারেন কৃষি ব্যবসা করতে।
এই পর্যায়ে জানাবো বেশ কিছু কৃষি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে যা ছিলো উক্ত আর্টিকেলের মূল বিষয়। এক্ষেত্রে বেশ কিছু শ্রেনীতে ভাগ করে ব্যবসায়ের আইডিয়া গুলো উপস্থাপন করছি। নিম্মের তার বিস্তারিত দেয় হলো।
কৃষি কাজের কথা শুনলে সবার আগে আমাদের মাথায় যে কাজ গুলোর কথা মনে আসে সেগুলো হচ্ছে ক্ষেত্রে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে জমিতে ফসল ফলানো। মূলত যত প্রকার শাক সবজ ফল রয়েছে সেসব গুলোকে এই ক্যাটাগরিতে রাখা যায়।
খুব ব্যাসিক পর্যায়ে যারা কাজ করে বা সরাসরি মাঠে খেতে যে কাজ করা হয় সেগুলোকেই বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ভালো মূলধন নিয়ে শুরু করতে হবে। লোকাল মার্কেটে চাহিদা অনুযায়ী অথবা বৃহৎ ভাবে করার ইচ্ছা থাকলে সে সকল পরিকল্পনা করে আগাতে হবে।
এমন কোনো গাছ নেই যেখানে জৈব সারের প্রয়োজন হয় না। জীবের পচা অংশ, গোবর, হাড়, পচা সবজি ও আবর্জনা থেকে তৈরি হয় জৈব সার। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভাবে জৈব সারের উৎপাদন অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। এটা যেমন এক দিকে পরিবেশের উপকার করবে তেমনই আর্থিক ভাবে লাভজনকও করবে।
আপনি যদি খুব দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য কৃষি ব্যবসা আইডিয়া খুজে থাকেন তবে ফার্মিং অন্য সব গুলো থেকে বেস্ট। মুরগিকে কেন্দ্র করে আপনি বেশ কয়েকটি ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করতে পারেন যেগুলো হলো:
এর জন্য আপনাকে বেশ ভারি পরিমাণের মূলধন ও লোকবল প্রয়োগ করতে হবে।
মাশরুম চাষ করার মাধ্যমে এবং সেই মাশরুম বাজারজাত করার মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমাণের ব্যবসা করা সম্ভব। এক্ষেত্র জেনে নিতে হবে মাশরুম চাষ করার পদ্ধতি এবং যথাযথ ভাবে ফসল ফলানোর মাধ্যমে মাশরুমের ব্যবসা করতে হবে।
মাত্র ১০ দিনে বিক্রি উপযোগ্য হয়ে উঠে বিধায় এই মাশরুম চাষের ব্যবসা অনেকেই করে সল্প সময়ে বেশি আয় করার উদ্দেশ্যে। বর্তমান সময়ের মার্কেট (বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে) মাশরুমের বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই তাদের সাথে ডিল করে ব্যবসা পরিচারনা করলে অল্প সময়ে ভালো লাভবান হওয়া সম্ভব।
আপনি যদি খুব ভালো একটি ব্যবসার আইডিয়া খোজে থাকেন কৃষি ভিত্তিক তবে এইটা আপনার অবহেলা করা উচিৎ হবে না। আমাদের দেশে গবাদি পশু যেমন (গরু, ছাগল) ব্যবসা হয়ে থাকে ঈদের সময়। অনেক ব্যবসায়ী এমন আছে যারা সারা বছর বা এক কালীন সময় গরু পালন করে ঈদের সময় বিক্রি করে।
তাছাড়া সারা বছর আমিষের একটা বড় অংশ হিসেবে মাংসের বাজার কভার করে রেখেছে। এছাড়াও আপনি দুগ্ধ ব্যবসাও করতে পারেন গাভি পালনের মাধ্যমে। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন কেবল মাত্র আমাদের দেশেই যে পরিমাণে দৈনিক দুধের চাহিদা রয়েছে তার থেকে অনেক কম পরিমাণের উৎপাদন হয়। তাই চাহিদা বেশি সম্পন্ন উক্ত ব্যবসা করে লাভবান হয়ে উঠতে পারেন।
কৃষি ব্যবসা আইডিয়া এর মধ্যে যে মাঠে খেটে কাজ করে উৎপাদন করতে হবে এমনটা কখনই নয়। ২০২২ সালে এসে আমরা বুজে গিয়েছি কিভাবে সর্ব প্রকার স্থান থেকেই আয় করা যায়। তাই আপনি কৃষি বিষয়ক কাজে দক্ষ হয়ে থাকলে সেই দক্ষতা কাজে লাগাতে পারেন অন্যকে শেখাতে বা টিউটরিয়াল প্রদান করতে এবং পরামর্শতে। আর সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটি হচ্ছে এইভাবেও আয় করা সম্ভব।
আপনি আপনার দক্ষতার বিষয়ের উপর ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রদান করবেন অথবা ইউটিউবে ভিডিও পাবলিশ করবেন। উভয় ক্ষেত্রেই গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করা যায়। তাই আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক কৃষি ব্যবসা আইডিয়া চেয়ে থাকেন তবে এটা আপনার জন্য।
এতো সময় ধরে আমরা কেবল কিভাবে উৎপাদন করে আয় করবেন সেই সম্পর্কেই জানালাম। এবার জানানো তার পরের ধাপ সম্পর্কে। জী, যখন উৎপাদন কাজ শেষ হয় তখন শুরু হয় বিপননের কাজ। আপনার পণ্যের যে ভোক্তা তার কাছে পৌছানোর জন্য যে কাজ গুলো করা হয় সেগুলোকে একত্রে বিপণনের কাজ বলে।
খুব প্রচলিত একটা উধাহরনের মাধ্যমে বিষয়টি বোঝানো যাক, যখন আমের সিজন শুরু হয় তখন রাজশাহীর আম হয় সারা দেশের প্রথম পছন্দ। এই পর্যায়ে আপনি যদি রাজশাহীর আম দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌছে দেয়ার মাধ্যমে ভোক্তার চাহিদা পূরন ও উক্ত কাজে উপযোগ সৃষি করে লাভবান হোন, তবে সেটি হবে আপনার কাছে বিপণন ব্যবসা।
উক্ত কাজের জন্য পণ্যের অভাব নেই, ছোট কাচামরিচ থেকে শুরু করে বড় কাঠান অলদি – আপনি যেকোনো একটি বা একাধিক পণ্য বাছাই করে বিপণনের কার্য পরিচালনা করতে পারবেন।
পরিশেষে এটা বলতেই হয় যে, এখানে যে কৃষি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে সেগুলো কেবল ক্যাটাগরি ভিত্তিক। কৃষি এমন একটি নিশ যে নিশ নিয়ে ব্যবসা করার কথা বললেই একাধিক আর্টিকেলের প্রয়োজন হবে। তবে আপনি যদি এরুপ আরো কৃষি ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান তবে উক্ত ট্যাগ লাইনটি অনুসরণ করে আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। পরবর্তি কৃষি ভিত্তিক আর্টিকেলে হবে ২০ টি কৃষি ব্যবসা সমূহ। তবে আপনি যে ব্যবসাই শুরু করেন না কেনো সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে প্রশিক্ষনের। কৃষি খুবই সেন্সিটিভ একটি বিষয় বস্তু তাই উক্ত বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান থাকা গুরুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কৃষি বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি করতে কৃষি ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করুন। ধন্যবাদ।
মানুষের মন যেহেতু আছে এটা ভালো কিংবা খারাপ থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। একটা…
বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে সাথে, ভালো মানের মেডিকেল কলেজের তালিকা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।…
গল্পের বই পছন্দ করেন? পড়ার জন্য সেরা গল্পের খোজে আছেন? সে সুবাদে অনলাইনে সার্চ করে…
যারা সঠিক তথ্যটি জানেনা তাদের অনেকের ধারণা - ভিসা এবং পাসপোর্ট মূলত একই কাজ করে…
আপনার কি Loan বা ঋণ প্রয়োজন? আচ্ছা আপনি কি একজন প্রবাসী কিংবা আপনার পরিবারের কেউ…
একজন মুমিন ব্যক্তি হিসেবে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত আপনি যে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাকে…