শখের ড্রাইভারই হোক বা প্রয়োজনের৷ ড্রাইভ করতে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা অতীব প্রয়োজনীয়৷ জানুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের নিয়ম সম্পর্কে।
ড্রাইভিং যেমন শখের বিষয় তেমনি অতিপ্রয়োজনীয়৷ যানজটের শহর ঢাকায়, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে গন্তব্যে পৌছানোর নিত্য প্রতিযোগীতায় জিততে নিজস্ব বাহনের কোনই বিকল্প নেই৷ আর, বাইক বা কার রাইডিং যদি হয় শখের, তবে তো সারাদিনই এদিক-সেদিক ড্রাইভ করা হয়েই থাকে৷
যানবাহন চালনাকে বলা হয় ড্রাইভ আর যারা ড্রাইভ করেন তাদের বলা হয় ড্রাইভার৷ যানবাহন পরিচালনাকারী ড্রাইভারকে হতে হয় ড্রাইভিং এ দক্ষ৷ ড্রাইভার তার দক্ষতার পরিক্ষা দিয়ে সরকারীভাবে যে যানবাহন পরিচালনার ছাড়পত্র পান তাই হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স৷
রিটেন,ভাইভা ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) নেওয়ার পর স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়।
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আগ্রহী ব্যক্তিকে লার্নারস বা শিক্ষানবীস ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সরকারী ওয়েবসাইট যার ঠিকানা bsp.brta.gov.bd তে আবেদন করতে হবে৷
আবেদন করার পর অনলাইনেই তার লাইসেন্স পাওয়ায় যাবে ও অনলাইন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন৷
আবেদনের পর ২-৩ মাস প্রশিক্ষণ নেওয়া সাপেক্ষে নির্ধারিত তারিখে ও নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক এবং ফিল্ড টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হবে৷
পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র, শিক্ষানবীস ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল কপি ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য সাথে করে কলম আনতে হবে৷
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বিভিন্নরকম হতে পারে৷ যার মাঝে রয়েছে পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স, পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স৷ এ তিন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার প্রক্রিয়াও ভিন্নতর৷
পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে শুরুর দিকের ড্রাইভিং লাইসেন্স৷
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সে এর ব্যবহার ২৫০০ কেজি এর মাঝে যানবাহনের জন্য৷ এই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে প্রার্থীর বা আবেদনকারীর বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২০ বছর৷
পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স যা কিনা মোটারযান ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজির জন্য প্রযোজ্য হবে৷ পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে প্রার্থীর বা আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে৷
পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স যা কিনা মোটরযান ৬৫০০ কেজির জন্য উর্ধ্বের জন্য প্রযোজ্য৷ পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে প্রার্থীর বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২৬ বছর এবং পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার পর ৩ বছর মোটারযান চালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে৷
ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যেমন অতি প্রয়োজন তেমনি সঠিকভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার প্রক্রিয়া অনুসরণে লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজতর হবার পাশাপাশি পরবর্তীতে নানাবিধ সমস্যার থেকে সহজে দূরে থাকা যায়৷
তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির অনলাইন ও অফলাইনের পদ্ধতি যথাযথ অনুসরণ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি নিশ্চিত করা উচিত৷
প্রতিটা দেশেরইই একক কিছু দেশাত্মবোধক গান থাকে তেমনি বাংলাদেশেও রয়েছে এমন অনেকগুলো দেশাত্মবোধক গান। আমরা…
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমাদের আজকের জানার বিষয় হলো -…
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে বেগুন চাষ…
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশা করি মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ও অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো…
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর ইচ্ছায় সবাই ভালো আছেন। আমাদের দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ…
মানুষের মন যেহেতু আছে এটা ভালো কিংবা খারাপ থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। একটা…