ভিসা - Visa

নেপাল ভিসা | ধরন, খরচ, মেয়াদ, আবেদন নিয়ম | বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভিসা

নেপাল যাওয়ার ইচ্ছা? বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভিসা পেতে হলে কি করতে হবে, কত টাকা খরচ, কোথায় আবেদন করবেন, কি কি লাগবে সব বিষয়ে জানুন এই আর্টিকেল থেকে।

 

নেপাল হলো দক্ষিণ এশিয়াতে অবস্থিত এমন একটি দেশ যার আয়তন হলো প্রায় ১৪৭, ১৮১ বর্গ কিলোমিটার। নেপালে বসবাস করে আনুমানিক ৩০ মিলিয়ন জনসংখ্যা। কাঠমান্ডু হল এই দেশের রাজধানী এবং দেশের বৃহত্তম মেট্রোপলিটন শহর। ভারত ও চীনের সাথে আঞ্চলিক সীমানা ভাগ করার ফলে নেপালে রয়েছে অনেক ভ্রমন এর জায়গা।

 

প্রতি বছরই হাজার হাজার বাঙালি নাগরিক রা বিভিন্ন রকম এর ভিসার মাধ্যমে নেপাল বৈধ ভাবে ভ্রমন করছেন। নেপাল হলো উৎসব এর একটি জায়গা যেখানে রাজ্যের কিছু অংশ বা অন্যটি বছরের প্রতি দিনের বিভিন্ন সময় অনেক উৎসব উদযাপন করে। নেপাল ভ্রমণ এর জন্য বাংলাদেশী নাগরিক রা পেয়ে যাবেন বেশ কয়েক ধরন এর ভিসা।

 

তাদের মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক ভিসা, অফিসিয়াল ভিসা, পর্যটন ভিসা, স্টাডি ভিসা, নন ট্যুরিস্ট ভিসা, ব্যবসা ভিসা, অনাবাসিক নেপালি ভিসা, আবাসিক ভিসা, ট্রানজিট ভিসা ইত্যাদি।

 

তবে ভিসা প্রসেসিং এর আগে ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া জরুরী। ভিসার ধরন, কোন ভিসার মাধ্যমে নেপাল যেতে কেমন পরিমান এর টাকা খরচ হতে পারে, সেই ভিসার মেয়াদ কাল কতো দিন থাকবে৷ কোথায় এবং কিভাবে আবেদন করবেন সে সকল নিয়ম গুলো জেনে নেওয়া জরুরি।

 

নেপাল ভিসার ধরন, সময়, মেয়াদ

 

ক. নেপাল টুরিস্ট ভিসাঃ

 

নেপাল টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ এই ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে ৭ থেকে ১০ দিন এর মতো।

নেপাল টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কালঃ টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে নেপালে ট্যুরিস্ট রা এক মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত বৈধভাবে অবস্থান করতে পারে অর্থাৎ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় এক থেকে ছয় মাস পর্যন্ত। 

 

খ. নেপাল ওয়ার্ক ভিসাঃ

নেপাল ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ এই ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ থেকে ৩০ দিন এর মতো।

নেপাল ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ কালঃ ২ থেকে ৫ বছর এর মতো।

 

গ. নেপাল স্টাডি ভিসাঃ

নেপাল স্টাডি ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মতো।

নেপাল স্টাডি ভিসার মেয়াদ কালঃ ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত এই ভিসার মেয়াদ থাকে।

 

ঘ. নেপাল বিজনেস ভিসাঃ

নেপাল বিজনেস ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ এই ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে ৩ থেকে ৭ সপ্তাহ এর মতো।

বিজনেস ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত।

 

নেপাল ভিসা করতে কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন ?

ক. নেপাল টুরিস্ট ভিসাঃ

 

১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

 

২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।

 

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত।

 

৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই নেপাল থেকে স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

 

৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।

 

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি।

 

৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

 

৮. আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।

 

খ. নেপাল ওয়ার্ক ভিসাঃ

 

১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

 

২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।

 

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।

 

৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই নেপাল থেকে স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

 

৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।

 

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি।

 

৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

 

৮. আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।

 

৯. কোম্পানী কতৃক অফার লেটারঃ যেই কোম্পানী কাজ এর অফার করছে তাদের অফার লেটার।

 

১০. স্পন্সর এর আকামার কপিঃ কাজ এর জন্য যার মাধ্যমে স্পন্সর করা হচ্ছে তার আকামার কপি দিতে হবে।

 

গ. নেপাল স্টাডি ভিসাঃ

 

১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

 

২. স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন এর পত্র: সঠিক তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।

 

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।

 

৪. কভার লেটার: আবেদন কারীর সম্পুর্ন বিবরণ থাকতে হবে। তার সাথে পাসপোর্ট এর বিস্তারিত বিবরণ এবং নেপাল ভ্রমণ এর জন্য বিশদ বিবরণ। স্টুডেন্ট এর ব্যয় কারা বহন করবে তার বিবরন উল্লেখ থাকা একটি কভারিং লেটার তৈরী করতে হবে।

 

৫. তালিকা ভুক্তির নিশ্চিতকরণ: আপনি যেই বিশ্ববিদ্যালয় এ অধ্যয়ন করতে চান সেখানে গ্রহণ যোগ্যতা পত্রসহ, কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়, মনোনীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সকল তথ্য দিতে হবে।

 

৬. বিশ্ববিদ্যালয় এর টিউশন ফি এর পেমেন্ট এর রসিদ: একটি অর্থ প্রদান এর রসিদ থাকতে হবে যার মাধ্যমে বোঝা যাবে যে আপনি প্রতিষ্ঠান কে সঠিক পরিমান এর অর্থ প্রদান করেছেন কিনা।

 

৭. একাডেমিক ডকুমেন্টস: আপনার সমস্ত একাডেমিক ডকুমেন্ট নেপাল দূতাবাস তথা কনস্যুলেট এ জমা দিতে হবে এবং তার সাথে সত্যায়িত করে নিতে হবে।

 

৮. আর্থিক অর্থ প্রদান: আপনার পড়াশোনার সময় খরচ কভার করার জন্য আর্থিক উপায় এর সঠিক প্রমাণ সমুহ উল্লেখ রাখতে হবে।

 

৯. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই নেপাল কতৃক স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনা -র টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

 

১০. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে। তার সাথে ফটোকপি ও থাকতে হবে।

এছাড়াও রয়েছে

১১. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি। তার সাথে ফটোকপি ও থাকতে হবে।

 

১২. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় পড়াশোনা করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

 

১৩. IELTS স্কোর এর সার্টিফিকেট: IELTS কোর্স করা কালীন পরিক্ষার স্কোর এর সার্টিফিকেট আবেদন পত্রের সাথে প্রদান করতে হবে।

 

ঘ. নেপাল বিজনেস ভিসাঃ

 

১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

 

২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।

 

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।

 

৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই তুরস্ক থেকে স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

 

৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।

 

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি।

 

৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় বিজনেস সংক্রান্ত কাজ এর জন্য ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

 

৮. আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।

 

৯. অফিসিয়াল বিজনেস পেপারসঃ বিজনেস সংক্রান্ত যেই সকল কাজের জন্য আপনি নেপাল ভ্রমন করছেন সেই সকল ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। 

 

নেপাল ভিসা করতে কত টাকা লাগে

 

ক. নেপাল টুরিস্ট ভিসাঃ

১. ১৫ দিন এর একাধিক প্রবেশ এর জন্য পর্যটক ভিসা টাকা – ২৭০০.

২. ৩০ দিন এর একাধিক প্রবেশ এর জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা টাকা – ৪৫০০.

৩. ৯০ দিন এর একাধিক প্রবেশ এর জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা টাকা – ১১২৫০.

 

খ. নেপাল ওয়ার্ক ভিসাঃ

১. ৬ মাস পর্যন্ত / একক বা একাধিক এন্ট্রি – ১৪৪৩০ টাকা।

২. ৬ মাস এর বেশি এবং ১ বছর পর্যন্ত / একাধিক এন্ট্রি- ২৩৮০০ টাকা।

৩. ১ বছর এর বেশি এবং ৫ বছর পর্যন্ত/ একাধিক এন্ট্রি- ৩৫৫২০ টাকা।

 

গ. নেপাল স্টাডি ভিসাঃ

কোর্সের মেয়াদ বা ৫ বছর এর জন্য বৈধ, যেটি একক/ একাধিক প্রবেশ এর ক্ষেত্রে – ৯৭৪০ টাকা।

 

ঘ. নেপাল বিজনেস ভিসাঃ

১. ১ বছর পর্যন্ত / একক বা একাধিক এন্ট্রি- ১৪৪৫০ টাকা।

২. ১ বছর এর বেশি এবং ৫ বছর পর্যন্ত / একাধিক এন্ট্রি- ২৯৬৬০

 

নেপাল ভিসা কিভাবে করতে হয় বা নিয়ম

 

১ম ধাপঃ ভিসা বাছাই- প্রথমেই ভিসা বাছাই করে নিতে হবে অর্থাৎ যেই ভিসার মাধ্যমে আপনি নেপাল ভ্রমণ করবেন সেটি সবার প্রথম বাছাই করবেন। 

 

২য় ধাপঃ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ –

নেপাল ভিসা আবেদন পত্র টির সাথে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় তথ্য গুছিয়ে নিয়ে এটাচ করে দিতে হবে। অবশ্যই সবসময় সকল লিগেল ডকুমেন্টস সরবরাহ করবেন।

 

৩য় ধাপঃ আপনার নেপাল ভিসা আবেদন শুরু-

নেপাল ভিসার জন্য আপনার জন্য প্রযোজ্য আবেদন টি সঠিক ভাবে অনলাইন এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। অনলাইন এর মাধ্যমে ভিসার আবেদন করার কারনে প্রথমেই আপনাকে ভিসার জন্য করা আবেদন ফর্ম টি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এবং তার সাথে সাথেই ডাউনলোড করা ফর্মটি তে সকল সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে পূরন করে নিতে হবে।

 

৪র্থ ধাপঃ আপনার সাক্ষাৎকার টি লিপিবদ্ধ করুন-

নেপাল ভিসার জন্য আপনার জন্য প্রযোজ্য সাক্ষাৎকার টি সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ করে নিতে ভুলবেন না। ভিসা অফিস এ গিয়ে আপনার সাক্ষাৎকার এ অংশগ্রহণ করুন।

 

৫ম ধাপঃ পেমেন্ট প্রদান করুন –

যেই ভিসার মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করছেন, তার জন্য যেই পরমান পেমেন্ট ধার্য করা হয়েছে তা সঠিক ভাবে প্রদান করে নিতে হবে। এবং তার সাথে সাথে পেমেন্ট এর জন্য দেওয়া রিসিট টি ও সংগ্রহ করে নিতে ভুলবেন না। কারন পরবর্তী সময়ে এই রিসিট টি প্রয়োজন হতে পারে।

 

৬ষ্ট ধাপঃ নেপাল ভিসার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিন-

শেষ পর্যায়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিবেন। আপনার নেপাল যাওয়ার ফ্লাইট এর সঠিক ডেট টি ও জেনে নিবেন।

 

নেপাল ভিসার আবেদন কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য

 

আজকের আর্টিকেল এর এই পর্যায়ে আপনাদের কে জানাবো বাংলাদেশ এ অবস্থান রত নেপাল এর ভিসা তৈরীর জন্য আবেদন কেন্দ্র সংক্রান্ত সকল প্রকার এর তথ্য সমূহঃ

 

নেপাল ভিসার আবেদন কেন্দ্র-

 

ক) ঠিকানাঃ ইউনাইটেড নেশনস, রোড নং- ০ ২, বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভ, ঢাকা -১২১২, বাংলাদেশ।

টেলিফোন নাম্বার- +88 -02 -989 25 68

ফ্যাক্স নাম্বার- +88 -02 -883 25 90

ইমেইল এড্রেস- eondhaka@dhaka.net eondhaka@mofa.gov.np 

ওয়েবসাইট এড্রেস- www.nepembassy-dhaka.net

ভিসা অফিস এর সময়সূচি-

রবি বার থেকে বৃহস্পতি বার:

সকাল 9: 0 0 থেকে বিকাল 4: 0 0 পর্যন্ত।

 

নিম্ন লিখিত পরিষেবা গুলির একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা রয়েছে যা ঢাকা, বাংলাদেশ এর নেপাল ভিসা অফিস এ দেওয়া হয়ে থাকে। যেমনঃ

১. পাসপোর্ট এর আবেদন প্রক্রিয়া।

২. ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

৩. নির্দিষ্ট নথি নোটা রাইজ করা।

৪. নথি -র বৈধ করণ।

৫. জরুরী ভ্রমণ।

৬. নথি প্রদান।

৭. নথি -র প্রত্যয়ন।

 

মিশন এর প্রধান – মিঃ কুমার রায়,

চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স সাধারণ ভিসার ধরন যোগ্য দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই নেপাল ভ্রমণ করতে পারবেন।

 

নেপাল ভিসা অফিস এর সেবার ক্ষেত্রে ভিসা -র সেবা দান এর সবচেয়ে সাধারণ প্রকার গুলি নিম্নরূপ-

১. কূটনৈতিক ভিসা

২. অফিসিয়াল ভিসা

৩. পর্যটন ভিসা

৪. স্টাডি ভিসা

৫. নন ট্যুরিস্ট ভিসা

৬. ব্যবসা ভিসা

৭. অনাবাসিক নেপালি ভিসা

৮. আবাসিক ভিসা

৯. ট্রানজিট ভিসা

 

খ) ঠিকানাঃ ১ম তলা, হোমস্টেড গুলশান লিংক টাওয়ার, গুলশান বাড্ডা লিংক রোড, ঢাকা – ১২ ১২ অফিস এর সময়ঃ

সোমবার থেকে শুক্রবার

সকাল 9:00 am থেকে বিকেল 5:30 pm

ইমেইল এড্রেস – info@visahq.com.bd

 

নেপাল ভিসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা

 

১. আমি কি এখন বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমণ করতে পারি?

 

নেপাল কোভিড – ১৯ টিকা প্রাপ্ত এবং টিকা বিহীন উভয় ভ্রমণকারী দের জন্যই উন্মুক্ত রয়েছে। যাইহোক, সম্পূর্ণ রূপে টিকা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা RT- PCR পরীক্ষার নিয়ম গুলি কমপ্লিট করেই বাইপাস করতে পারেন। নেপাল এ প্রবেশ এর অন্তত ১৪ দিন আগে ভ্রমন কারী দের কোভিড- ১৯ ভ্যাকসিন এর শেষ ডোজ গ্রহন করে নেওয়া উচিত।

 

২. আমি কি অনলাইনে নেপাল এর ভিসার জন্য  আবেদন করতে পারি?

 

২০১৪ সাল থেকে, আপনি নেপাল এ আপনার আগমন এর তারিখ এর ১৫ দিন এর মধ্যে অনলাইন এ ট্যুরিস্ট ভিজিট ভিসা -র জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনার হোটেল এর ঠিকানা এবং একটি পাসপোর্ট আকার এর ফটো -র সাম্প্রতিক ডিজিটাল সংস্করণ প্রয়োজন যা আপনি অ্যাপ্লিকেশন টিতে আপলোড করতে পারেন৷

 

৩. বাংলাদেশ এর নাগরিক রা কি নেপালে গিয়ে কাজ করতে পারে?

 

যদি কোনো বাংলাদেশ এর নাগরিক নেপালে কাজ করতে চায়, তাহলে তার অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া বাধ্যতামূলক। ওয়ার্ক পারমিট শ্রম বিভাগ (D o L) দ্বারা জারি করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, ডিপার্টমেন্ট অফ ইমিগ্রেশন (D oI M) এর ওয়ার্ক পারমিট এর ভিত্তিতে নন- ট্যুরিস্ট ভিসা প্রদান এর ক্ষমতা রয়েছে। 

 

৪. আমি কিভাবে নেপালে শ্রম ভিসা পেতে পারি?

 

শ্রম বিভাগ এর ওয়েবসাইট www.dofe.gov.np- এর অনলাইন লেবার পারমিট এ ক্লিক করে পুনঃ কর্মসংস্থান এর জন্য ফরম অনলাইন এ পূরণ করা যেতে পারে। ফর্ম টি পূরণ করার পর, আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন শাখা থেকে নবায়ন কৃত শ্রম পারমিট পেতে হবে।

 

৫. নেপাল সীমান্ত কি এখন খোলা?

 

প্রায় ১৯ মাস পর, উভয় সরকার ই সীমান্ত বন্ধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নেপাল-ভারত সীমান্ত পুনরায় খোলার ইস্যুতে নেপাল সরকার এর সিদ্ধান্তের প্রতিফলন, ভারত সরকার যেটি নেপালের মতো একই ভিত্তিতে ২০২০ সাল এর মার্চ মাসে ও সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল সেই সীমান্ত টি পুনরায় চালু করেছে। 

 

শেষ কথা!!!

 

আশা করি আজকের এই নেপাল ভিসা সংক্রান্ত আর্টিকেল টি সম্পুর্ন পড়ার মাধ্যমে ভিসা সংক্রান্ত অনেক জটিল তথ্য ই সহজে জানতে পেরেছেন। এবং তার পাশাপাশি এ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য গুলো আপনার ভবিষ্যত এর নেপাল ভ্রমণ এর জন্য খুবই কাজে লাগবে।

 

তবে আপনার উচিত হবে নেপাল ভ্রমণ এর আগেই নেপাল ভিসা সংক্রান্ত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ সরাসরি যাচাই- বাছাই করে নিয়ে তারপর ভিসা প্রসেসিং এর সকল কাজ শুরু করা এবং আপনার বৈধ ভ্রমন আরও আনন্দময় করে তোলা। এছাড়া ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন 

 

Bangla Alo

Recent Posts

মন ভালো রাখার উপায় || মন সুস্থ রাখার ১০ টি টিপস

মানুষের মন যেহেতু আছে এটা ভালো কিংবা খারাপ থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়।  একটা…

4 weeks ago

বাংলাদেশের সেরা ১০ টি মেডিকেল কলেজ

বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে সাথে, ভালো মানের মেডিকেল কলেজের তালিকা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।…

2 months ago

সেরা ১০ টি গল্পের বই || বাছাইকৃত লেখকের সেরা ১০ টি বই

গল্পের বই পছন্দ করেন? পড়ার জন্য সেরা গল্পের খোজে আছেন? সে সুবাদে অনলাইনে সার্চ করে…

2 months ago

ভিসা ও পাসপোর্ট কি? একটি ভিসা এবং পাসপোর্টের মধ্যে পার্থক্য সমূহ

যারা সঠিক তথ্যটি জানেনা তাদের অনেকের ধারণা - ভিসা এবং পাসপোর্ট মূলত একই কাজ করে…

2 months ago

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নেয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত (২০২৪)

আপনার কি Loan বা ঋণ প্রয়োজন? আচ্ছা আপনি কি একজন প্রবাসী কিংবা আপনার পরিবারের কেউ…

2 months ago

ইসলামে নিষিদ্ধ ব্যবসা || যে সকল ব্যবসা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম

একজন মুমিন ব্যক্তি হিসেবে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত আপনি যে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাকে…

2 months ago